নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে যা বলেছিলেন সেটাই করে দেখিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাই অবশ্য ভাবে বলা যায় যে বাংলা নির্বাচনের পর থেকে প্রশান্ত কিশোরের গুরুত্ব আগের থেকেও অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। তাই তিনি দেশের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কী বলছেন তা অবশ্যই গুরুত্ব পাবে। এই প্রশান্ত কিশোর নিজে দাবি করছেন যে আগামী কয়েক দশক বিজেপি দেশে থাকছেই! কেন, তার ব্যাখ্যাও তিনি দিয়ে দিয়েছেন। এদিকে এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়েছেন প্রশান্ত।
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের মতে, আগামী কয়েক দশক ভারতে বিজেপির ভিত মজবুত এবং তাদের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি স্পষ্ট বলছেন, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে বিজেপি ভারতের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। ঠিক যেমন কংগ্রেসের প্রথম ৪০ বছর ছিল। তাই স্পষ্ট ভাবে ধরে নিতে হবে যে এখনই বিজেপি কোথাও সরে যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতেই কথা বলতে গিয়ে তিনি কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে বলেন, রাহুল যদি মনে করে থাকেন যে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকে এত সহজে সরিয়ে দেওয়া যাবে তাহলে তিনি ভুল করছেন। তিনি আসলে বিজেপির শক্তি পরীক্ষা করছেন না বা বিজেপির কতটা শক্তি রয়েছে তা উপলব্ধি করতে পারছেন না। আর এই উপলব্ধি না করতে পারলে বিজেপিকে হারানো মুশকিল। প্রশান্তের কথায়, এই ব্যাপারটা বোঝার জন্য কেউ বেশি সময় দিচ্ছে না তাই বিজেপিকে হারানো আরো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে বাকিদের কাছে।
তবে প্রশান্ত এই ইস্যুতে আরো যা বলেছেন সেটি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশ। তিনি বলছেন, সাধারণ মানুষ যদি রেগে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে হারিয়ে দেয়, তাহলে বিজেপি যে সরে যাবে এমনটাও নয়। মোদীকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করতে পারে কিন্তু বিজেপি এখনই কোথাও যাচ্ছে না, অন্তত আগামী কয়েক বছর তো নয়ই! তবে আদতে সাধারণ মানুষের কত দিন সময় লাগবে মোদীকে প্রত্যাখ্যান করতে সেই নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের।