নয়াদিল্লি: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে একাধিকবার বিজেপি সরকার এবং তাদের নেতা, মন্ত্রীদের কড়া আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এবার দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তিনি। দাবি করলেন, করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকটে ভারত, আর এর জন্য দায়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার। এই নিয়ে টুইট করেছেন তিনি।
প্রশান্তের কথায়, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়’ এই শব্দবন্ধ যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘প্রোপাগান্ডা’। আসলে দেশ এখন সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়’ ভ্যাকসিন উৎপাদক দেশ কিংবা করোনা পরীক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে – এ জাতীয় যে প্রচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘প্রোপাগান্ডা’। বাস্তব হল, এই মুহূর্তে ভারতই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে। সেটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তব। আর সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে বলছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এর আগে একাধিকবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন তিনি। এবার একবার ফের মোদী সরকারকে ঝাঁঝাল ভাষায় কটাক্ষ করেন কিশোর।
The erroneous use of the phrase “दुनिया का सबसे बड़ा” as PREFIX to amplify efforts is quite sickening.
– Claiming India’s #CovidTesting and #CovidVaccination as world’s biggest is plain PROPAGANDA
– Accepting India’s #CovidCrisis as world’s biggest is the unfortunate REALITY
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) April 27, 2021
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও দেশের করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের জন্য সরাসরি দায়ি করেছেন বিজেপি সরকারকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র বাংলা দখল করার লোভে গোটা দেশকে বিপদের মুখে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকলে। একই ভাবে বাংলাতেও বিজেপির জন্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই সুরে সুর মেলালেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, করোনা সমস্যার সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। সরকারের দূরদর্শিতার অভাব এবং অব্যবস্থার কারণে দেশ সংকটের মধ্যে পড়েছে। প্রথম ঢেউয়ের সময় অপরিকল্পিতভাবে কার্যকর হওয়া লকডাউনে এই ভাইরাসের সংক্রমণের থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ধাক্কায় অক্সিজেন, ওষুধ এবং হাসপাতালের বেডের অভাবে।