পাটনা: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ তথা জনতা দল ইউনাইটেডের প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। এবার তার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল নীতীশের সরকার! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রসঙ্গ উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিহার প্রশাসন। বিহারের বক্সার জেলায় বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপির পথে হেঁটে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল! নেতাদের নির্দেশ!
হঠাৎ কেন প্রশান্ত কিশোরের বাড়ি ভাঙ্গা হল? এই প্রসঙ্গে বিহার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৮৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। আর প্রসেন কিশোরের ওই বাড়িটির পাঁচিল এবং সামনের ফটক অধিগৃহীত জায়গায় পড়েছে। সেই কারণেই বাড়ির কিছুটা অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের ব্যাপার নাকি রাজনৈতিক হিংসা, কি কারনে প্রশান্ত কিশোরের বাড়ি এইভাবে ভাঙ্গা হল সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে নীতীশের দল। এদিকে জেডিউ ছাড়ার পর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী হয়ে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর। একইসঙ্গে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরোধিতা সুর চড়িয়েছেন তিনি। সেই কারণেই কি এইভাবে বাড়ি ভাঙ্গা হল তার, উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘হাম দো, হামারে দো’, সংসদে মোদী সরকারকে তীব্র খোঁচা রাহুলের
বিহার প্রশাসন সাফ জানাচ্ছে, জমি অধিগ্রহণের ব্যাপার না হলে তার বাড়ি এইভাবে ভাঙ্গা হত না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো রকম সম্পর্ক নেই। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বিহার প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এই বিষয়টি স্পষ্ট করেন। আপাতত প্রশান্ত কিশোরের নিজে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তিনি কী প্রতিক্রিয়া দেন এখন সেটাই দেখার। প্রশান্ত কিশোরের প্রতিক্রিয়ায় এই বিষয়টি আরও গভীরতা পাবে বলে অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।