শারিরীক অক্ষমতাকে পিছনে ফেলে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন প্রণব

তিরুবনন্তপুরম: দারিদ্রতাকে সঙ্গে নিয়েই বেড়ে উঠেছেন৷ কিন্তু তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শারীরিক অক্ষমতা৷ জন্ম থেকেই দুটো হাত নেই কেরলের পলক্কড়রের কাঠমিস্ত্রি বালাসুব্রামনিয়াম ও স্বর্ণকুমারী দেবীর সন্তান প্রণব সুব্রামানিয়ামের৷ তাই দুটো পা কেই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার হাতিয়ার বানিয়েছেন৷ মাত্র একুশ বছরেই তাকে স্বনামধন্য করে তুলেছে পায়ের সাহায্যে আঁকা তার ছবি৷ প্রাণোচ্ছল এই যুবক দুই

তিরুবনন্তপুরম: দারিদ্রতাকে সঙ্গে নিয়েই বেড়ে উঠেছেন৷ কিন্তু তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শারীরিক অক্ষমতা৷ জন্ম থেকেই দুটো হাত নেই কেরলের পলক্কড়রের কাঠমিস্ত্রি বালাসুব্রামনিয়াম ও স্বর্ণকুমারী দেবীর সন্তান প্রণব সুব্রামানিয়ামের৷ তাই দুটো পা কেই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার হাতিয়ার বানিয়েছেন৷ মাত্র একুশ বছরেই তাকে স্বনামধন্য করে তুলেছে পায়ের সাহায্যে আঁকা তার ছবি৷

প্রাণোচ্ছল এই যুবক দুই পায়ে তুলির টানে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন তার রঙিন স্বপ্নগুলো৷ কিন্তু বন্যা দুর্গত কেরালার মানুষগুলোর অবস্থা তাকে মনকে বিষন্ন করে তুলছিল৷ সুযোগ এলো ওদের জন্য কিছু একটা করার৷ যখন টিভি চ্যানেলের রিয়ালিটি শোয়ে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরার সুযোগ পেলেন৷

রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন প্রণব৷ হাতে এল কিছু অর্থ৷ আর তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন ওই অর্থ অনুদান হিসেবে তুলে দেবেন সরকারি তহবিলে৷ পরিকল্পনা মত নিজের জন্মদিনেই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ের হাতে তুলে দিলেন চেক৷ নিজের পা দিয়ে স্বাক্ষর করে দিলেন তাতে৷ এক সংবাদ মাধ্যমে নিজের এই স্মরনীয় অভিজ্ঞতার কথায জানাতে গিয়ে প্রনব বলেছেন, ‘‘প্রথমদিকে আমি একটু নার্ভাস ছিলাম৷ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শুনেছিলাম উনি নাকি একটু রাগী প্রকৃতির৷ কিন্তু আমার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করেছেন এবং আমরা একসঙ্গে দশ মিনিটেরও বেশী সময় কাটিয়েছি৷ আমার পায়ে হাত মিলিয়ে আমাকে সম্বোধন করতেও সংকোচ বোধ করেননি৷ আমি যখন তার সঙ্গে সেলফি তোলার কথা বলি উনি খুশি মনে সম্মতি দিয়েছিলেন৷ এমনকি ওনার আধিকারিকেরাও জানিয়েছন, এর আগে তাকে এত খুশি মনে দেখেননি৷ আমিও অত্যন্ত খুশি হয়েছি৷’’

মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ও ট্যুইট করে তাঁ সঙ্গে প্রসবের সাক্ষাতের কথা লিখেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অত্যন্ত মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা হল আজ সকালে৷ প্রণব, একজন অঙ্কনশিল্পী, আমার অফিসে এসে আমার সঙ্গে দেখা করে সিএমডিআরএফ-এর জন্য অনুদান চলে দিল আমার হাতে৷ শারিরীক ভাবে অক্ষমদের জন্য সরকারী সহায়তাযর জন্য খুশি প্রকাশ করেছে প্রণব৷’’

রিয়েলিটি শো থেকে পরিচিতি পাওয়ার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন৷ এতে কিছুটা আর্থিক সঙ্গতির হয়৷ এর আগেও গত বছর কেরলের বন্যাদুর্গতদের জন্য ৫০০০ টাকা আর্থিক অনুদান তুলে দিয়েছিলেন প্রণব৷ জীবনে আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছবি আঁকার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার প্রতিও মনোযোগী প্রনব৷ চিত্তুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বি.কম পাশ করে এখন পিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ ভবিষ্যতে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করে দেশের জন্য হয়তো আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে এই ‘ফুট আর্টিস্টের’৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 4 =