কলকাতা: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল৷ এবার রাষ্ট্রপতি ভবন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, ৮ আগস্ট তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হবে৷ ওই একই দিনে মরণোত্তর ভারতরত্ন উপাধি পাবেন অসমের জনপ্রিয় গায়ক ভূপেন হাজারিকাও৷ বিধান চন্দ্র রায়, সত্যজিত রায়, অরুণা আসফ আলি, অমর্ত্য সেন ও রবিশঙ্করের পর প্রণববাবু ষষ্ঠ বাঙালি হিসাবে ‘ভারতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন প্রণববাবু৷
প্রণব মুখোপাধ্যায় একাধিক সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৪ সালে ‘ইউরোমানি’ পত্রিকার সমীক্ষায় তাঁকে ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী’ বলা হয়েছিল। ২০১০ সালে বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের দৈনিক সংবাদপত্র ‘এমার্জিং মার্কেটস’ তাঁকে ‘ফাইনান্স মিনিস্টার অফ দ্য ইয়ার ফর এশিয়া’ পুরস্কার দিয়েছিল। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে, ‘দ্য ব্যাঙ্কার’ পত্রিকা তাঁকে ‘ফাইনান্স মিনিস্টার অফ দ্য ইয়ার্স’ সম্মান দিয়েছিল। ভারত সরকার ২০০৮ সালে তাঁকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘পদ্মবিভূষণ’ প্রদান করে। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ পান।
২০১৮-র ১৬ জানুয়ারি তাঁকে সম্মাননাসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়৷ ২০১১ সালে উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টর অফ লেটারস ডিগ্রি দেয়৷ ২০১২ সালের মার্চ মাসে অসম
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বেশ্বরায়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি. লিট ডিগ্রি দেয়৷ ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট অফ ল ডিগ্রি দেয়৷ ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টর অফ ল সম্মান দেয়৷ শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-কে সাধারণ (আইআইইএসটি) ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সালে জাতীয় গুরুত্বের প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের নাম আইআইইএসটি রাখার আগে ছিল ‘বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (বেসু)৷ এস কে জোশী কমিটির সুপারিশ মেনে বেসু-সহ দেশের ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইআইইএসটি করার প্রস্তাব দেয় আনন্দ কৃষ্ণন কমিটি৷ তারপর রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে বিষয়টি দ্রূত রূপায়ণের অনুরোধ করেন৷