নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণের দিক থেকে স্পেনকে ছাপিয়ে গেল ভারত। করোনা সংক্রমণের দিক থেকে ভারত বিশ্বে প্রথম পাঁচে চলে এল। শনিবার রাত পর্যন্ত দুই লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
স্পেনে দুই লক্ষ ৪১ হাজারের কিছু বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতে লকডাউন শিথিল করার পর থেকে এবং পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফেরার পর থেকে করোনা হু হু করে বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা বিশ্বে যে হারে করোনা থাবা মারছে, তাতে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। করোনায় মারা গিয়েছেন এক লক্ষের বেশি মানুষ। আমেরিকায় করোনার প্রকোপ কিছুতেই কমছে না। অন্য দিকে ব্রাজিলে করোনার দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। জানা গিয়েছে ব্রাজিলে তিন লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। স্পেন ও ইতালির পরিস্থিতি ভয়াবহ থাকলেও এখন করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়।
ভারতে করোনা নিয়ে আশার বানী শুনিয়েছেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিষেধকের জন্য মানুষকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। বড়জোড় দুই থেকে তিন মাস। তার মধ্যেই এই মারণ ভাইরাসকে জব্দ করার কোনও না কোনও উপায় বের হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চেষ্টা করছে। আবার ইতালি ও রাশি্য়া করোনার ওষুধ তৈরির কথা জানিয়েছে। যদিও এই দুই দেশের ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে।
গুলেরিয়া জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের হার ধীর গতিতে আনা এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে পরিস্থিতি যে হারে বাড়ছে তাতে রোগীদের জন্য হাসপাতালের বেড থাকবে না বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও গুলেরিয়া জানিয়েছেন, তার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।