ভোপাল: খুনি কে? জবাব খুঁজতে একেবারে হয়রান পুলিশ৷ এক কিশোরী খুনের মামলায় নেমে রীতিমতো নাস্তানাবুদ এক পুলিশ আধিকারিক৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছেন বটে৷ কিন্তু, আসল খুনির নাগাল এখনও পাননি৷ তাই সমাজের রক্ষক নির্লজ্জ ভাবে শরণাপন্ন হলেন এক গুনিনের!
আসল খুনি কে তার সূত্র কিছুতেই মেলাতে পারছিলেন না ওই পুলিশ আধিকারিক৷ অপরাধীর বুদ্ধির কাছে একেবারে নাকানিচোবানি অবস্থা৷ বলা ভালো ধূর্ত অপরাধীর কাছে হার মেনে শেষমেষ গুনিনের দ্বারস্থ হন৷ এদিকে, সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড করা হয় ওই পুলিশকর্মীকে৷ ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের৷
আরও পড়ুন- দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা, ‘স্বাগত’ জানালেন কেজরিওয়াল
গত ২৮ জুলাইয়ের ঘটনা৷ মধ্যপ্রদেশের ওটাপূর্বা গ্রামে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় বছর সতেরোর এক কিশোরীর নিথর দেহ৷ ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত প্রমাণ না মেলায়, ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ৷ এই তিনজন যদি অপরাধী না হয়ে থাকে তাহলে আসল অপরাধী কে বা কারা?
এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়৷ কিন্তু, দেড় মাস কেটে গেলেও জবাব অধরা৷ এদিকে, আসল খুনি বা খুনিদের খুঁজে বার করার জন্য পুলিশের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। এই মামলাটির তদন্তভার গিয়ে পড়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) অনিল শর্মার উপর। তদন্তে নেমে তিনি দিশেহারা! অনেক হাতড়েও কোনও সূত্র খুঁজে পাননি। অগত্যা, যাবতীয় লজ্জা-কুন্ঠা জলাঞ্জলি দিয়ে রহস্যের সমাধান করতে তিনি ছুটে যান ‘বাবা পান্ডোখর সরকার’-এর দুয়ারে। একেবারে পায়ে পড়ে যান ‘গুনিন বাবা’র৷
ওই গুনিনের একেবারে চরণ তলে বসে হাতজোড় করে শর্মা বলেন, “বাবা, আসল খুনি কে, বলে দিন।” এর পরই পকেট থেকে বেশ কয়কেটি নাম লেখা একটি চিরকুট বার করেন শর্মা। পন্ডোখর তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি কাদের কাদের সন্দেহ করছেন৷ তবে তাঁর চিরকুট দেখতে চাননি তিনি৷ শর্মাকে বলেন, “থাক, থাক আপনার চিরকুট আমাকে দেখাতে হবে না। আমার কাছে যে নামগুলি রয়েছে, তার মধ্যে যাদের নাম বলব না, সে-ই এই রহস্য সমাধানের সূত্র। তাঁকে ধরতে পারলেই খুনিকে ধরতে পারবেন।”
এর পর গুনিনের ইঙ্গিতে কিশোরীর কাকা তিরথ আহিড়বারকে গ্রেফতার করেন এএসআই শর্মা। তাঁর গ্রেফতারির পরেই শর্মার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। কিশোরীর কাকার পরিবারের অভিযোগ, গুনিনের পরামর্শেই তিরথকে গ্রেফতার করেছেন শর্মা। তাঁর কাছে আদৌ কোনও প্রমাণ নেই৷ আইন মেনে এই কাজ করেননি এএসআই৷ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল বাধে৷ শর্মাকে তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>