নয়াদিল্লি: করোনা সতর্কতায় সারা দেশে লকডাউন জারি হতেই ভেঙে দেওয়া হল শাহিনবাগের ধরনা মঞ্চ৷ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শাহিনবাগে টানা ১০১ দিন ধরে চলা সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ইতি পড়ল আজ৷
সোমবার বিকেল থেকে লকডাউন শুরু হতেই কার্যত শুনসান হয়ে যায় গোটা দেশ৷ লকডাউন চলছে রাজধানীতেও৷ এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাতটায় শাহিনবাগে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের ধরনাস্থল থেকে হঠিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ৷ ধরনাস্থল খালি করার পর খুলে দেওয়া হয় জাফরাবাদ এবং তুর্কমান গেট যাওয়ার রাস্তা৷
দিল্লির ডিসিপি জানান, শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রতিবাদ মঞ্চ ছাড়তে রাজি হননি তাঁরা৷ এর পর জোরজবস্তি তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ ছয় মিহিলা সহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ৷ সিভিক পুলিশের সহাসতায় ধরণাস্থল ফাঁকা করে দেওয়া হয়৷’’
করোনা সতর্কতায় গোটা দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ এই নিয়ম লাগু থাকার সময় কোনও ভাবেই জমায়েত বরদাস্ত করা হবে না বলে সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার ভোর ছ’টা থেকে দিল্লিতে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের ধরনাস্থল খালি করার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ বাধ্য হয়েই এদিন সাত সকালে বিশাল বাহিনী নিয়ে শাহিনবাগে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশ৷ প্রতিবাদীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর ধরনাস্থল থেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের৷ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শাহিনবাগের আখড়া৷
গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকেও শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের আন্দোলন বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল৷ গত ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে শুরু হয় ধরনা৷ কিন্তু পুলিশের আবেদনে কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা৷
এদিকে, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭০৷ রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৷ মৃত্যু হয়েছে একজনের৷ সংক্রমণ মোকাবিলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট৷ বন্ধ রয়েছে প্রতিটি সীমান্ত৷ বন্ধ দিল্লির বাজার৷ সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে ৩০টি রাজ্যে৷