চণ্ডীগড়: দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ রোধ করতে দেশ জুড়ে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সব থেকে বিপাকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে আটকে পড়েছেন। মাঝে মাঝে বিশেষ বাস বা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের তরফ থেকে। যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।কিন্তু সেখানেও প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বাসে জায়গা আছে, ফাঁকা আসন পড়ে রয়েছে, তারপরেও বাসে আসতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম একটি সমীক্ষাব করে এমন রিপোর্ট সামনে এনেছে। তারা জানিয়েছে, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও চণ্ডীগড়ে বাসের টিকিট পেতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই তিনটি জায়গায় বাসের টিকিট পেতে গেলে পুলিশকে ঘুষ দিতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। তবেই তাঁরা হাতে পাচ্ছেন টিকিট। এই পরিস্থিতির ওপর ভরসা না করে সাইকেলে করে বা পায়ে হেঁটে নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেক পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিস্থিতি এড়াতে চার শ্রমিক বাস পরিষেবায় ভরসা না রেখে বিহারের মাধেপুরা পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে যাওয়াই মনস্থ করেছেন। এই শ্রমিকদের অভিযোগ বাসের টিকিট কাটতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। মোটা টাকা ঘুষের দাবি করেছেন সেখানকার পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ চণ্ডীগড়ে সেক্টর ৪৩-তে নিযুক্ত কর্মীরা এই ঘুষের দাবি করেছেন।যদিও চণ্ডীগড়ের পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, বাসে মহিলাদের ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাই বাসের আসন সংখ্যা কম থাকতে পারে। তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।