কোন তথ্যের ভিত্তিতে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ পালন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর? টুইট ঘিরে বিতর্ক

কোন তথ্যের ভিত্তিতে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ পালন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর? টুইট ঘিরে বিতর্ক

 

নয়াদিল্লি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্যের সামাধান এখনও অধরা৷ ১৯৪৫ সালে আজকের দিনেই নেতাজি তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন। কিন্তু আমরা আজও জানি না এরপর কি হয়েছে। তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট নথি আজও নেই৷ অথচ এদিন সকাল থেকেই তাঁর ‘মৃত্যু দিবস’ উপলক্ষ্যে একের পর এক ট্যুইট করছেন রাজনৈতিক নেতারা৷ টুইট করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্কও৷    

আরও পড়ুন- সিভিল সার্ভিসের মতো কঠিন পরীক্ষায় সফল হওয়ার মন্ত্র দিলেন বিজয়ীরা

 

মঙ্গলবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ‘মৃত্যু দিবস’ উপলক্ষে টুইট করে পোখারিয়াল বলেন, ‘‘আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী সেনানি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই৷ নেতাজির সংগ্রাম, ত্যাগ ও উত্সর্গ সকল যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা৷ জয় হিন্দ!’’ টুইট করেছেন বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজেও৷ তিনি লেখিছেন, ‘‘আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা মহান মুক্তিযোদ্ধা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর চরণ বন্দন করি।’’ 

নেতাজির মৃত্যু ঘিরে রয়েছে এক গভীর রহস্য৷ ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল কিনা, তার সদুত্তর এখনও মেলেনি৷ রহস্য উন্মোচনে একাধিক কমিটি গঠিত হয়েছে৷ কিন্তু সেই কমিটির সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করেনি কেন্দ্র৷ নেতাজির মৃত্যু রহস্য অনুসন্ধানে এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি কমিশন গঠন করেছে ভারত সরকার। ১৯৫৬ সালে শাহনওয়াজ কমিশন, ১৯৭০-এ খোসলা কমিশন এবং ১৯৯৯-সালে মুখার্জী কমিশন। এর মধ্যে শাহনওয়াজ এবং খোসলা কমিশন বলেছিল, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট জাপানের তাইপেই-র তাইহোকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনাতে মৃত্যু হয়েছে নেতাজির৷ কিন্তু পরবর্তী কালে এই দুই কমিটির দেওয়া তত্ত্ব সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয় মুখার্জী কমিশন৷  তাদের দাবি ছিল, ১৯৪৫ সালে মারা যাননি নেতাজি৷  

আরও পড়ুন- ১৯৪৭ দেশভাগ: বিভাজন রুখে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ ছিল অখণ্ডিত বাংলার সামনে

 

এর পর ফরাসি ঐতিহাসিক জেবিপি মোর গোপন ফরাসি নথির ভিত্তিতে বলেন, ফরাসি গোয়েন্দা নথিতে কোথাও বলা নেই যে, তাইওয়ানের বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। বরং নথি থেকে স্পষ্ট, ১৯৪৭-এর ডিসেম্বরেও জীবিত ছিলেন নেতাজি। এই অধরা সমাধান সূত্রের উপর দাঁড়িয়েই আজ নেতাজির ‘মৃত্যু দিবস’ উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ তাঁর কাছে কি উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আছে? কারণ নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য সংক্রান্ত সমস্ত নথি এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্র৷ প্রথম দফায় নথি প্রকাশের পর থমকে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fourteen =