UBI-র সঙ্গে সংযুক্তি, লুঠের অর্থ ‘আদায়’ করছে PNB? অভিযোগ গ্রাহকদের

একাধিক অভিযোগ জানান হচ্ছে যে, সংযুক্তিকরণের 'দোহাই' দিয়ে নীরব মোদীর লুঠে নেওয়া অর্থ জোর করে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পঞ্জাব ন্যাশেনাল ব্যাঙ্ক!

49bfdfe5fe602cd237152924e991f9c9

 

কলকাতা: ইউনাইটেড ব‍্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হয়েছে পঞ্জাব ন্যাশেনাল ব্যাঙ্কের। এই সংযুক্তিকরণ নিয়েই এবার বিস্তর বিবাদ দেখা দিতে শুরু করেছে গ্রাহক মহলে। একাধিক অভিযোগ জানান হচ্ছে যে, সংযুক্তিকরণের ‘দোহাই’ দিয়ে নীরব মোদীর লুঠে নেওয়া অর্থ জোর করে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পঞ্জাব ন্যাশেনাল ব্যাঙ্ক! গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, গত দশ দিনে আদায়ের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ইউনাইটেড ব‍্যাঙ্কের সঙ্গে পিএনবির সংযুক্তিকরণে গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে!

খবর ছড়িয়েছে, সংযুক্তিকরণের পর ডিসেম্বর মাসে ইউবিআই গ্রাহকদের IFSC ও MICR পরিবর্তন করা হয়৷ তাতে চার-পাঁচ দিন ধরে প্রায় সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ গ্রাহকদের৷ এদিকে গত দশ-পনেরো দিনে যাঁদের ইউবিআই থেকে গৃহ‌ঋণ, ব‍্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি ঋণের ইএম‌আই কাটার সময়সীমা ধার্য ছিল, তাঁদের প্রায় সবারই অ্যাকাউন্ট থেকে একটা অতিরিক্ত ইএম‌আই বা অতিরিক্ত অঙ্কের অর্থ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের৷ ব‍্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকদের একাংশ৷ পিএনবির গ্রাহক পরিষেবা দফতরে ফোন করেও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফোনে যোগাযোগ‌ করা সম্ভব হচ্ছে না লাইন ব‍্যস্ত থাকায়! যোগাযোগ করা গেলেও সংযুক্তিকরণের জন্য প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তথ‍্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের৷ 

অন্যদিকে, সংযুক্তিকরণের আগে ইউবিআইয়ের ন্যূনতম জমার অর্থ, ডিমান্ড ড্রাফট চার্জ বা লকার ভাড়ার চার্জ পিএনবি থেকে অনেক কম ছিল৷ অল্প পরিমাণ অর্থ‌ও রাখা যেত৷ এখন পিএনবি হ‌ওয়ায় ন্যূনতম জমা ২০০০ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে স্বল্প অর্থ রাখা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ন্যূনতম অর্থ কম রাখার কারণে জরিমানা করা হচ্ছে বলেও গ্রাহকদের একাংশ অভিযোগ করছে। আরও অভিযোগ, সরকারি স্যালারি অ্যাকাউন্ট বা পেনশন অ্যাকাউন্টের থেকেও টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে৷ পিএনবি সার্ভারে কেওয়াইসি আপডেটেড না থাকায় সমস্যা হচ্ছে৷ অথচ এক‌ই অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ থাকলে ইএম‌আই-সহ অতিরিক্ত ইএম‌আই কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ৷ গ্রাহকদের এই অভিযোগের প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ তবে, নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক ব্যাঙ্ক কর্মী জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কিছু সমস্যা হয়ে থাকতে পারে৷ দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *