নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গঠিত ‘পিএম-কেয়ার্স’ তহবিল নিয়ে প্রথম থেকেই না-খুশ বিরোধী শিবির৷ এই তহবিলে অনুদানকারীদের নাম-পরিচয় কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী নেতারা৷ এই বিতর্কের মাঝেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ পিএমও আধিকারিকরা জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে এই তহবিল খুলেছিলেন৷ পাশাপাশি তুলে ধরা হয় দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের খতিয়ান৷ জানালেন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা থেকে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ১০৩ কোটির টাকারও বেশি৷
আরও পড়ুন- জয়েন্ট এন্ট্রান্স, নিট নিয়ে ছয় রাজ্যের আবেদন কালই শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
পিএমও-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত বছর উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলায় স্যানিটেশন কর্মীদের কল্যাণে গঠিত একটি তহবিলে নিজের সঞ্চয় থেকে ২১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল শান্তি পুরস্কার হিসাবে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থই গঙ্গায় বর্জ্য সাফাইয়ের কাজে দান করেন৷ এই পুরস্কারের অর্থ ছিল ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা৷ এছাড়াও গঙ্গা সাফাইয়ের কাজে নিজের স্মারক নিলাম করে আরও ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী৷ এছাড়াও ২০১৫ সালে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নমো৷ ওই বছর পাওয়া বিভিন্ন উপহার নিলাম করে এই টাকা পেয়েছিলেন তিনি৷
জরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কার্যকাল শেষ হওয়ার পর নিজের সঞ্চয় থেকে ২১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কন্যাসন্তানদের শিক্ষা খাতে৷ মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া সমস্ত পুরস্কার নিলাম করে ৮৬ কোটি ৯৬ হাজার টাকাও দান করেছেন শিশুকন্যাদের শিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে।
আরও পড়ুন- দেওয়ালে লিখে পাড়ায়-পাড়ায় স্কুল খুললেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা
প্রসঙ্গত, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় ত্রাণ তহবিল বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড (এনডিআরএফ) থাকা সত্ত্বেও কেন আলাদা করে পিএম-কেয়ার্স ফান্ড গঠন করা হল, তা নিয়ে অসংখ্যবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে এই টাকা হস্তান্তর ও তহবিলের সমস্ত তথ্য প্রকাশের জন্য বিরোধীরা বারবার দাবি তুলেছে৷ যদিও এই টাকা জাতীয় বিপর্যয় তহবিলে দিতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ তবে পিএম কেয়ার্সের তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে৷ পিএম কেয়ার্স ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭ মার্চ এই তহবিল গঠিত হওয়ার পর পাঁচ দিনের মধ্যে দেশ বিদেশ থেকে ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫ টাকা জমা পড়ে।