নয়া দিল্লি: করোনা মোকাবিলায় ১৩০ কোটি দেশবাসীকে একসঙ্গে লড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, মানুষ একসঙ্গে লড়ছেনও এই পরিস্থিতি। ২৮ মার্চ গড়েছেন পিএম কেয়ারস তহবিল। যাতে ইতিমধ্যেই সাড়ে ছ'হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। অঙ্কের হিসেবে দশজনের তালিকা:
টি-সিরিজের কর্ণধার ভূষণ কুমার পিএম কেয়ারস তহবিলে ১১ কোটি টাকা অনুদান করেছেন। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলেও দান করেছেন তিনি। বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার প্রধানমন্ত্রীর ওই তহবিলে দিয়েছেন ২৫ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে যখন মানুষের জীবন ও মৃত্যুর প্রশ্ন, তখন দায়িত্ব কীভাবে কাঁধে নিতে হয়, তা দেখিয়েছেন তিনি।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এমডি উদয় কোটাক পিএম কেয়ারস ফান্ডে দিয়েছেন ২৫ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাঙ্কের তরফে আরও ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ৫১ কোটি টাকা অনুদান করেছে পিএম কেয়ারস তহবিলে।
জেএসডব্লিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দাল ১০০ কোটি টাকা অনুদান করেছেন তহবিলে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে আছেন, এই কথাও জানিয়েছেন তিনি। আদানি ফাউন্ডেশন পিএম কেয়ারস ফান্ডে দিয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এছাড়াও গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ৫ কোটি ও মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি টাকা দিয়েছে তারা।
ডি-মার্টের নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাভিনিউ সুপারমার্টসের প্রোমোটর রাধাকৃষাণ দামানি গত শনিবার ১০০ কোটি টাকা অনুদান করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। এছাড়াও ৫৫ কোটি টাকা বিভিন্ন রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার আদিত্য বিড়লা গ্রুপের তরফে ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে। এছাড়াও মুম্বইয়ের ১০০ শয্যা সম্বলিত সেভেন হিলস হাসপাতালের নেপথ্যেও রয়েছে তাদের অবদান।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবারই টুইটারে ৫০০ কোটি টাকা অনুদানের কথা বলেছিল টাটা। টাটা ট্রাস্টস-এর সঙ্গে মিলে ১৫০০ কোটি টাকা অনুদান করেছে টাটা গ্রুপ। গত সপ্তাহে ৫০০ কোটি টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেছিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ কোটি টাকা অনুদানও দিয়েছে সংস্থাটি। করোনা আক্রান্তদের জন্য ১০০ বেডের হাসপাতালও তৈরি করেছে রিলায়েন্স।