নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এখন সরগরম সংসদ। গতকাল এক দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল লোকসভায়। যদিও ‘লাইমলাইট’ কেড়ে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আর আজ মোদী সরকারের নিশানায় ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। খোদ প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে নিজের ভাষণে তাঁকে একহাত নেন। কার্যত মশকরা করেন অধীর চৌধুরীকে নিয়ে। গোটা সংসদ ভবন অট্টহাসিতে গমগম করে ওঠে নরেন্দ্র মোদীর কথা শুনে।
বিরোধী পক্ষের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে গিয়েছে একটু অতীতের কথা টেনে এনেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই সময়ে বিরোধীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। তাঁর ভাষণে শুরু হয়েছিল আলোচনা। এরপর ২০০৩ সালে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেবার সোনিয়া গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিরোধীদের। ২০১৮ সালে মল্লিকারজুন খাড়্গে বিরোধী হয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এবার অধিরবাবুর কী হাল! মোদীর কথায়, ”ওনার দলই ওনাকে বলার সুযোগ দেয়নি। গতকাল তাঁর সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আজ তাঁকে বলার সুযোগ দিয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু গুড়কে কী ভাবে গোবর করতে হয় তা ইনি ভালোই জানেন।”
এরপর সরাসরি অধীরকে নিশানা করেই মোদী বলেন, ”আমি জানি না আপনার বাধ্যবাধকতা কী। কেন তাঁকে দল এক কোনে করে দিচ্ছে। জানা নেই কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছে কিনা। কংগ্রেস বারবার ওনাকে অপমান করে। কখনও ভোটের নামে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।” অধীর চৌধুরীকে ‘সমবেদনা’ জানিয়ে বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করেন তিনি।