ভ্যাকসিন পৌঁছবে কি করে? সোমবার সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকেই দেশে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে যাবে।

নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকেই দেশে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে যাবে। তার আগে আগামী সোমবার দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সারাদেশে কিভাবে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যাবে জনসাধারণের কাছে, সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ড্রাই রান সাফল্যের সঙ্গেই এগিয়েছে দেশে। এর আগে গত শনিবার রাজ্যের তিন জায়গায় ড্রাই রান হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৭৩৬টা জেলায় হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা। জনসাধারণের কাছে কিভাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায় সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল, প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। 

প্রাথমিক পর্যায়ে যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে তাদের মূলত চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে রয়েছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং আশা কর্মীরা। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছেন পুলিশ, পৌরসভার কর্মীরা। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এমন মানুষ যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। আর চতুর্থ পর্যায় রয়েছেন কোমর্বিডিটি রোগীরা, তাদের বয়স ৫০ বছরের কম বা বেশি হতে পারে। একই সঙ্গে এমন মানুষকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যাদের কাজের সূত্রে সর্বক্ষণ মেলামেশা করতে হয়। এইচআর পর্যায় মিলিয়ে মোট ৩০ কোটি মানুষকে প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন প্রদানের খরচ সম্পন্ন বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন বিতরনের জন্য হাব তৈরি করা হবে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৯ হাজারের বেশি জায়গায় শিবির তৈরি করা হবে যেখান থেকে টিকাকরণ প্রদান করা হবে। টিকা বিতরনের জন্য কমপক্ষে ৩১ টি হাব তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *