নয়াদিল্লি: দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে না এদিকে উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃত্যুর হার। দৈনিক সংক্রমণ আগের থেকে কিঞ্চিৎ কম হলেও মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট আতঙ্ক বাড়াচ্ছে দেশবাসীর মনে। এই আবহে আবার ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেনের আকালে হই হই দেশের অন্দরে। সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে তা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ভারাক্রান্ত হলেন তিনি, কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে গেল তাঁর।
নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপে যায় তাঁর। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি একটি টুইট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বার্তা দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অনেক প্রিয়জনকে হারাচ্ছি। যারা আমাদের থেকে দূরে চলে গিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি।”
“कोरोना वायरस ने हमारे कई अपनों को हमसे छीना है। मैं उन सभी लोगों को अपनी श्रद्धांजलि देता हूं, उनके परिजनों के प्रति सांत्वना व्यक्त करता हूं।”
कोरोना के कारण जान गंवाने वालों को श्रद्धांजलि देते हुए प्रधानमंत्री श्री नरेन्द्र मोदी भावुक हो गए। pic.twitter.com/UqTp8JzAAy
— BJP (@BJP4India) May 21, 2021
প্রসঙ্গত, গতকাল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার পর বিস্ফোরক অভিযোগ করে দাবি করেছিলেন, ওই বৈঠকে কোন মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজের মত ভাষণ দিয়ে গেছেন এবং বৈঠক অত্যন্ত ক্যাজুয়াল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কী ভাষণ দিয়েছেন সেটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়নি। এদিকে কোন মুখ্যমন্ত্রীদের কথা না শুনে নির্দিষ্ট রাজ্যের সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য ঘিরে আবারো কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সংঘাত জনসমক্ষে চলে এসেছে।