রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে টেনে আনলেন আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ, বিশ্বভারতী নিয়ে বার্তায় মোদী

মোদী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী ভারতকে আত্মনির্ভরতার বার্তা দেয়।

নয়াদিল্লি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের বক্তৃতায় একদিকে যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা বললেন তিনি, অন্যদিকে ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দিলেন আত্মনির্ভরতার কথাও। এককথায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী ভারতকে আত্মনির্ভরতার বার্তা দেয়। তাঁর চিন্তা, দর্শন এবং পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন সফল করার চেষ্টা প্রতিমুহূর্তে করে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। 

এদিন এই ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে আরও বলেন, স্বদেশী সমাজ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কৃষি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প এবং সাহিত্যে তিনি আত্মনির্ভরতা চেয়েছিলেন। মোদীর কথায়, রবীন্দ্রনাথ যে আত্মনির্ভর ভারতের চিত্র ভেবেছিলেন তার বিশ্বকে বিপুলভাবে সুবিধা দিত। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ভারতের আত্মনির্ভর হওয়ার পথিকৃৎ গুলো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের বিকাশ এবং তার আত্মনির্ভরতার জন্ম এই বিশ্বভারতী থেকেই। একই সঙ্গে তিনি বিরসা মুন্ডা, ক্ষুদিরাম বসুর প্রসঙ্গ টেনেও বলেন, দেশের আত্ম সম্মান রক্ষার জন্য এঁনারা সকলে হাসতে হাসতে প্রাণ দিয়েছেন। তাই দেশ এই বলিদান কখনো ভুলবে না এবং তা ভোলার নয়। প্রসঙ্গত এই ভার্চুয়াল বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। 

আর কয়েক মাস পরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলা এবং বাঙালির আবেগ টানতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ বাংলার একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকবার বিজেপিকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, বাংলা এবং বাঙালি সম্পর্কে যারা কিছু জানে না তারা এখন নির্বাচনের আগে এসে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিজেপি যে বাঙালি আবেগ থাকতে চায় তা বোঝাই যাচ্ছে কারণ সম্প্রতি বাংলা এবং বাংলার স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ভাষণ এবং বক্তব্য রাখছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর রাজ্য সফর করার কথা। ইতিমধ্যে অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্য সফর করে ফেলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 9 =