নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় ‘গাফিলতি’৷ ভাতিন্দার কাছে আটকে গেল নরেন্দ্র মোদীর কনভয়৷ বিক্ষোভে জেরে উড়ালপুলের উপর প্রায় ২০ মিনিট আটকে থাকে মোদীর কনভয়৷ অথচ প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিল পঞ্জাব সরকার৷ এর পরেও বিক্ষোভের জেরে ২০ মিনিট ধরে উড়ালপুলের উপর আটকে থাকতে হল তাঁকে৷ যা প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ৫৫ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ! বৃদ্ধি মৃত্যুতেও
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি হয়েছে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ সে কারণেই ২০ মিনিট ধরে ফ্লাইওভারের উপর আটকে থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে৷ আর তার ঠিক উল্টো দিকে গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা৷ বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফের ভাতিন্দা ফিরে আসে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়৷ যার জেরে বাতিল হয়ে যায় যাবতীয় কর্মসূচি৷ কিন্তু এই গাফিলতির নেপথ্যে কারা? রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
পঞ্জাব সরকারকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল যে, ভাতিন্দাতে প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণের পর সেখান থেকে কপ্টারে চেপে হুসাইনিওয়ালায় যাবেন তিনি৷ কপ্টারে যেতে না পারলে সড়ক পথে সেখানে পৌঁছবেন এবং জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবেন৷ এর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও বলা হয়৷ আজ ভাতিন্দাতে নামার পর দেখা যায় বৃষ্টি হচ্ছে৷ সঙ্গে কুয়াশাও রয়েছে৷ ফলে সড়ক পথেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ কিন্তু হুসাইনিওয়ালা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে নমোর কনভয়৷ সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ি থেকে নেমে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে ফেলেন৷ খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে পৌঁছয় পঞ্জাব পুলিশ৷ দ্রুত সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে ফেলা হয়৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, জেড প্লাস নিরাপত্তা পান প্রধানমন্ত্রী৷ এর পরেও কী ভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
এদিকে এই ঘটনার জন্য পঞ্জাব সরকারকেই দায়ী করেছে বিজেপি৷ প্রধানমন্ত্রীর সফরে ঘিরে চক্রান্তের অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাও দাবি করেছে তাঁরা৷ এদিকে নিরাপত্তার কারণে ফের ভাতিন্দায় চলে আসে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়৷ নিরাপত্তার জেরেই বাতিল করা হয় তাঁর ফিরোজপুরের সভা৷ বাতিল কার হয়েছে লুধিয়ানার সভাও৷ ভাতিন্দা থেকে দিল্লি ফিরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এদিন ভাতিন্দার বিমানবন্দরে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেবেন যে, আমি ভাতিন্দা বিমানবন্দর পর্যন্ত জীবিত ফিরতে পেরেছি৷ ’’