“বন্ধুকে হারালাম”, রাম বিলাস পাসোয়ানের প্রয়াণে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। তাঁর ছেলে ও লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান এ খবর জানান। মন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তাঁর মৃত্যুকে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন টুইট করে বলেন, রাম বিলাস পাসোয়ান দলিত আইকন ছিলেন। এমন এক বন্ধু এবং মূল্যবান সহকর্মীকে হারিয়ে তিনি মর্মাহত। পাসোয়ান কঠোর পরিশ্রম ও সংকল্পের মাধ্যমে রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন।

f8d4a42889eb05f386ce2f9bec39c953

 

নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। তাঁর ছেলে ও লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান এ খবর জানান। মন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তাঁর মৃত্যুকে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন টুইট করে বলেন, রাম বিলাস পাসোয়ান দলিত আইকন ছিলেন। এমন এক বন্ধু এবং মূল্যবান সহকর্মীকে হারিয়ে তিনি মর্মাহত। পাসোয়ান কঠোর পরিশ্রম ও সংকল্পের মাধ্যমে রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন।

“আমি যে দুঃখ পেয়েছি তা শব্দে প্রকাশ করতে পারব না। আমাদের মধ্যে এমন একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে যা সম্ভবত কখনই পূরণ করা যায় না। শ্রী রাম বিলাস পাসোয়ানজির মৃত্যু একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমি এক বন্ধু, মূল্যবান সহকর্মী এবং এমন একজনকে হারিয়েছি যিনি প্রতি দরিদ্রকে জায়গা দেওয়ার জন্য অত্যন্ত আবেগী ছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে এ কথা লেখেন। অন্য একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “রাম বিলাস পাসওয়ানজি কঠোর পরিশ্রম ও সংকল্পের মাধ্যমে রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন। একজন তরুণ নেতা হিসাবে, তিনি জরুরী সময়ে অত্যাচার এবং আমাদের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ প্রতিহত করেছিলেন। তিনি নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন অবদান রেখে গিয়েছেন। অসামান্য সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।” আর একটি টুইটে মোদী লেখেন, “পাসোয়ানজির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তাঁর হস্তক্ষেপ অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ছিল। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, রাষ্ট্রীয়তা থেকে শুরু করে শাসন সম্পর্কিত ইস্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

 

 

 

 

 

মন্ত্রী প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। তিনি লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুতে, জাতি একটি স্বপ্নদর্শী নেতাকে হারিয়েছে। তিনি সংসদ সদস্যদের মধ্যে সর্বাধিক সক্রিয় ও দীর্ঘকালীন দায়িত্ব পালনকারী সদস্যদের মধ্যে ছিলেন। তিনি নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছিলেন। যুবা বয়সে তিনি আগুনের ফুলকির মতো এক সমাজবিদ ছিলেন। এমার্জেন্সি মুভমেন্টের সময় জয়প্রকাশ নারায়ণের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। জনসাধারণের সঙ্গে পাসোয়ানজির সম্পর্ক ছিল ঈর্ষণীয়। তিনি প্রচণ্ডভাবে তাদের কল্যাণের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

 

 

বাবার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে ছেলে চিরাগ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বাবা, এই পৃথিবীতে নেই৷ কিন্তু আমি জানি, তুমি চিরকাল আমার পাশে থাকবে৷ তোমার শূন্যতা অনুভূত করব৷’’ পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন লোক জনশক্তি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা দলিত নেতা রামবিলাস পাসোয়ান৷ জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে দিল্লির হাসপাতালে হার্টের অপারেশন হয়েছিল তাঁক৷ কিন্তু, তার পর থেকে আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেননি তিনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *