নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বের একাধিক দেশের সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। এই নিয়ে এর আগে একাধিক রিপোর্ট বেরিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে একাধিক দেশের প্রশাসন পদক্ষেপ নেয় তা দিন দিন আরও বেশি স্পষ্ট হচ্ছে। আর এবার রাষ্ট্রপ্রধানদের যে তালিকা গঠন করা হয়েছে তাতে জ্বলজ্বল করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম।
গ্লোবাল মিডিয়া ওয়াচডগ – রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ারস একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে যারা সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেন। এই তালিকায় একদিকে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন, তাদের সঙ্গেই রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! এর পাশাপাশি এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সহ আরো অনেকে। তবে বাকিদের নিয়ে কোনও রকম তাপ উত্তাপ না থাকলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা শুরু হয়েছে। এই তালিকায় বাকি যে রাষ্ট্রপ্রধানরা রয়েছেন তাদের এই তালিকায় থাকার ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক বলে মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশ। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম এই তালিকায় চলে আসাটা একেবারেই কাম্য নয় বলে সকলের বক্তব্য। এই রিপোর্ট স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার কোন বিষয় মাত্রাতিরিক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতের বিশ্বের মঞ্চে পরিচিতি হিসেবে যে এটা একদমই সমীচীন নয় তা বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- যাঁরা বলেন মুসলিমদের ভারতে থাকা উচিত নয়, তাঁরা প্রকৃত হিন্দু নন: মোহন ভাগবত
যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে রাজ্যের খবর এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ করার ল্যাব হিসেবে সেই রাজ্যকে ব্যবহার করে এসেছেন এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হবার পর তিনি তার দেশে প্রয়োগ করেছেন। এমনকি এও দাবি করা হয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদীর সবথেকে বড় অস্ত্র গণমাধ্যমে ভাষণ দিয়ে জাতীয়তাবাদী মনোভাব তৈরি করা। এইভাবে খবর ছড়িয়ে দিয়ে তিনি শিল্পপতিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন যাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংবাদমাধ্যম।