নয়াদিল্লি: কর্মঠ এবং পরিশ্রমী হিসেবে দেশে তো বটেই বিদেশেও যথেষ্ট নাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। একের পর এক সফর, সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, জনসভা করা কার্যত কোনো ব্যাপারই নয় তাঁর কাছে। মূলত সেই কারণেই কর্মঠ এই প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ডের কথা প্রায়শই খবরের শিরোনামে আসে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৬০ ঘন্টায় দুই দেশে সফরের পাশাপাশি কমপক্ষে ১৫ টি আন্তর্জাতিক বৈঠক করেছেন বলে খবর। কার্যত চোখের নিমেষেই তিনি জার্মানি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ঘুরে বুধবার সকালে দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যেই আবার জার্মানিতে জি৭ সম্মেলনে যোগ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। এত অল্প সময়ে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে রীতিমতো রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এমন টাইট শিডিউলের কথা প্রকাশে এসেছে। সাধারণত বিদেশ সফরের সময় বাঁচাতে রাতেই বিমানে চলাচল করেন তিনি। আবার বিমানযাত্রার যাবতীয় কর্মসূচি এবং বৈঠক প্রসঙ্গে পড়াশোনার কাজও তিনি বিমানেই সেরে রাখেন। ফলে একের পর এক বিদেশ সফর কিংবা আন্তর্জাতিক বৈঠক করতে কোনও অসুবিধাই হয় না তাঁর। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই জার্মানি পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে ছিল একাধিক কর্মসূচি। সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও সারেন তিনি। সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের মতো একাধিক কর্মসূচী ছিল মোদীর। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক সারেন তিনি। সঙ্গে ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতে দেখা যায় তাঁকে। সব মিলিয়ে মোট ১৫টি বৈঠক।
অন্যদিকে জার্মানি থেকে ফেরার পথেই আবু ধাবিতে যান প্রধানমন্ত্রী। গত মাসেই প্রয়াত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমির শাহীর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। জানা যাচ্ছে তাঁর মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে শোকপ্রকাশ করতে সেদেশে গিয়েছিলেন মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্য়র্থনা জানান আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট প্রয়াত শাসকের সৎভাই শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।