নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণ টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতে। এই কর্মসূচির সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূচনাকালে স্পষ্ট জানালেন, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কবে আসবে সকলের প্রশ্ন ছিল এটাই। প্রত্যেক ভারতবাসী আজকের দিনের জন্যই অপেক্ষা করছিল। একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দিয়ে, দেশ তার ঋণ শোধ করছে। পাশাপাশি তিনি জানালেন, ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি আগে হয়নি।
এদিন দেশের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, মূলত একটি ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ভারতের বিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। তারা কোন উৎসব দেখেননি, দিন দেখেননি, রাতে দেখেননি। এত কম সময়ের মধ্যে যে দুটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভারত নির্মিত। শুধু তাই নয়, আরো কয়েকটি ভ্যাকসিন ট্রায়াল’ পর্যায়ে রয়েছে বলে এদিন ফের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। আরও জানান, যাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তারাই আগে টিকা পাবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দিয়ে দেশ তাদের ঋণ শোধ করছে।
তিনি ফের একবার বলেন, একইসঙ্গে প্রথম টিকা লাগানোর পর দ্বিতীয় টিকা কখন লাগবে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাবে গ্রহীতার মোবাইল ফোনে। এদিন দেশবাসীকে আরো একটি ব্যাপারে স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। একটি নিয়ে অপরটি ভুলে গেলে কখনই চলবে না। দুটি ডোজের মধ্যে কমপক্ষে এক মাসের অন্তর রাখা হবে। দ্বিতীয়বার টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পরেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করবে ভ্যাকসিন, বলে মনে করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি আরও একবার তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রথম পর্যায়ে যে তিন কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে তার সম্পূর্ণ খরচ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারগুলিকে কোন রকম খরচ করতে হবে না। এই কথা বলেই ভারতের গণ টিকাকরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।