নয়াদিল্লি: বেড়ে চলেছে ওমিক্রন। অনেকেই মনে করছেন নতুন বছরের শুরুর দিকেই এই প্রজাতির কারণেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যায় যেভাবে হেরফের হচ্ছে তাতে এই আশঙ্কাই সত্যি হওয়ার পথে। সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাতেই সব পুরণ হয় না। এবার এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আগেই প্রধানমন্ত্রী সকলের ছুটি বাতিল করেছিলেন, নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কেউ যেন বছর শেষে কোথাও না যান। সেই প্রেক্ষিতে আজ বিকেলেই এই বৈঠক হওয়ার কথা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও আগামী বছরে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কতটা প্রস্তুত, হাসপাতালের পরিকাঠামো, চিকিৎসা সামগ্রী ও অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারেও খোঁজ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর দ্বিতীয় মাসেই একাধিক নির্বাচন রয়েছে। তাই সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনারভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩৮ জন দিল্লিরই৷ মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ১৬৭ জন৷ এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন৷ অন্যদিকে, একলাফে অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ ২০ দিন পর দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার পেরিয়ে গেছে৷ মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮। সেই নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ৷ বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করলেও ভোট থেকে বড়দিন, সবকিছুতেই ভেঙেছে করোনা বিধি৷ তার ফলও মিলতে শুরু করেছে৷ দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী, লাগামছাড়া মহোৎসবের পর ঠিক যেমনটা হয়েছিল৷ গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করলেও মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে ফের বাড়ল উদ্বেগ৷