দেরাদুন: বিপর্যয় পিছু ছাড়ছে না উত্তরাখণ্ডের। ফের ভয়াবহ বন্যা বিপর্যয়ের সাক্ষী থাকল কেদারধাম। ২০১৩ সালের মেঘভাঙা বর্ষণের স্মৃতি ফিরিয়ে এনে উত্তরাখণ্ডে আবারও দেখা দেয়েছে একাধিক নদীর বিপুল জলোচ্ছ্বাস।
উত্তরাখণ্ডের ধৌলিগঙ্গা, নন্দাদেবী, অলকানন্দা প্রভৃতি নদীতে হিমবাহ চ্যুতির ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এবার সতর্ক করা হল উত্তরপ্রদেশকেও। যোগী আদিত্যনাথ পরিচালিত রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে জরুরি ভিত্তিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আকস্মিক এই বিপর্যয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্কতার বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ সম্পর্কে আমি মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। মানুষকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন। এনডিআরএফ দলগুলি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। দেবভূমিকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করা হবে।” উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে সতর্ক করা হয়েছে গঙ্গা পাড়ের সমস্ত লোকালয়ে। সর্বক্ষণ জলের মতিগতির উপর প্রশাসনের কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। প্রয়োজনে মানুষকে যাতে কম সময়ের নোটিশেই নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা যায়, রাখা হয়েছে তার ব্যবস্থাও।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও উত্তরাখণ্ড সরকারের পাশে বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। নিজ রাজ্যের জেলা প্রশাসকদের উপরেও জারি হয়েছে সতর্কতা। রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছেই ধৌলিগঙ্গা নদী থেকে আচমকা দেখা দেয় বিপুল জলোচ্ছ্বাস। নদীতীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি এর ফলে ধ্বংস হয়ে যায় মুহূর্তেই। জানা গেছে, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (ITBP) শতাধিক কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। পরে আসে অন্যান্য সাহায্য। চামোলি পুলিশ জানিয়েছে, ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প তপোবন এলাকায় হিমবাহের চ্যুতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।