নয়াদিল্লি: ভারতের কৃষক আন্দোলনের সপক্ষে কথা বলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি, ভর্ৎসিত হয়েছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারাও। কিন্তু বুধবার শুধুমাত্র একটা ফোনেই গলল সব বরফ। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দুই প্রধানের সৌহার্দ্যপূর্ণ বাক্যালাপে চাপা পড়ে গেল কৃষক বিদ্রোহ।
আরও পড়ুন- ‘বিবাদ মিটেয়ে সেনা সরাবে দু’পক্ষ, এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না ভারত’, বললেন রাজনাথ
জানা গেছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর গতকাল ফোন করেছিলেন তাঁর ভারতীয় প্রতিরূপ নরেন্দ্র মোদীকে। আর তখনই ভারতে প্রস্তুত করা করোনা ভ্যাকসিন কানাডায় পাঠানোর বিষয়ে ‘বন্ধু’ ট্রুডোকে আশ্বাস দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, অতিমারী পরবর্তী আবহে বিশ্বের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একসঙ্গে মিলে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন দুই প্রধান। সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে এই বাক্যালাপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই কানাডার সঙ্গে যোগাযোগের কথা শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি লেখেন, “আমার বন্ধু জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে ফোন পেয়ে আমি খুশি।কানাডা যে করোনা ভ্যাকসিন আমাদের কাছে চেয়েছে তা দিয়ে ওদের সর্বোতভাবে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছি।” ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আমরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বিশ্বজোড়া আর্থিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার জন্যও সহমত পোষণ করেছি।”
বস্তুত, করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান গোটা বিশ্বের মধ্যে যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা জানতে বাকি নেই কারোরই। পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ ছাড়াও ভারতে তৈরি হয়েছে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’। দেশের জনগণের মধ্যে তো বটেই, ইতিমধ্যে একাধিক দেশেই ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকাতে এবার যুক্ত হচ্ছে কানাডার নামও।
আরও পড়ুন- এক-দুই নয়, একেবারে তিন দিন ছুটি! শ্রম ক্ষেত্রে নয়া বিকল্প আনতে চলেছে কেন্দ্র
সম্প্রতি ভারতে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পাশে সবসময় থাকবে কানাডা। তাঁর এই বার্তার কড়া সমালোচনা করেছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তার কিছুদিনের মধ্যেই দুই দেশের প্রধানের এই বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।