নয়াদিল্লি: বড় দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বড় দিনে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি জানান, ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়া বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ মনো বলেন, আমরা চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে রয়েছি৷ ২০২২ আসার অপেক্ষা৷ আপনারা সকলেই নববর্ষকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত৷ কিন্তু এই সময় সবাইকে সতর্কও থাকতে হবে৷ বিশ্বজুড়ে ওমিক্রমনের সংক্রমণ বাড়ছে৷ ভারতেও অনেকের ওমিক্রমন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর আর্জি, ওমিক্রন নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না৷ কিন্তু সাবধানে থাকুন৷ সতর্ক থাকুন৷ সকলকে কোভিড বিধি মানতে হবে৷
তিনি জানান, ভারতে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড, ৫ লক্ষ অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড, ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড রয়েছে৷ আইসিইউ ও নন-আইসিইউ মিলেয়ে ৯০ হাজার বেড রয়েছে৷ শিশুদের জন্যেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে৷ দেশে ৩ হাজারের বেশি অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে৷ রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত টিকা, ওষুধ ও টেস্টিং কিট দেওয়া হচ্ছে৷ এই রোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে মিশন মুডে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল ভারত৷ গবেষণার পাশাপাশি অনুমোদন, সরবারহ, আইটি সাপোর্ট ব্যবস্থা ও সার্টিফিকেটের উপরেও নিরন্তর কাজ করা হয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ১৪১ কোটি টিকা প্রদান করেছে ভারত। প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৯১ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। ভারত কঠিন লক্ষ্য পার করেছে৷ গোয়া, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের মতো রাজ্য ১০০ শতাংশ সিঙ্গেল ডোজ টিকা হয়ে গিয়েছে৷ খুব শীঘ্রই দেশে নাসাল ভ্যাকসিন ও ডিএনএ ভ্যাকসিন শুরু হবে৷ শুরু থেকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ভারত৷
মোদী বলেন, আজ অটলজির জন্মদিন৷ আবার ক্রিস্টমাসও৷ তাই মনে হল আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত সকলের সামনে তুলে ধরা উচিত৷ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য দেশে টিকাকরণ শুরু হবে৷ ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি সোমবার থেকে এর সূচনা হবে৷ এই সিদ্ধান্ত করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইকে আরও মজবুত করবে৷