মোদির জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেই পরিষ্কার হবে লকডাউনের ভাগ্য!

আরও একবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ওই ভাষণে তিনি জানাবেন আগামী মঙ্গলবারই কি শেষ হচ্ছে ২১ দিনের লকডাউন পর্ব৷ নাকি করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও দীর্ঘায়িত করা হবে লকডাউন৷ শনিবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকের পরেই দেশবাসীকে এই বিষয়ে কেন্দ্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন মোদি৷

নয়াদিল্লি: আরও একবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ওই ভাষণে তিনি জানাবেন আগামী মঙ্গলবারই কি শেষ হচ্ছে ২১ দিনের লকডাউন পর্ব৷ নাকি করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও দীর্ঘায়িত করা হবে লকডাউন৷ শনিবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকের পরেই দেশবাসীকে এই বিষয়ে কেন্দ্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন মোদি৷

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী৷ এই পরিস্থিতিতে আদৌ লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত হবে কিনা তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে৷  ইতিমধ্যেই বুধবার সর্বদলীয় ভিডিও বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও, জরুরি পরেষেবার পাশাপাশি এবার বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে৷ তবে আন্তঃদেশীয় যান চলাচল সীমিত থাকবে। স্কুল, কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে৷

২১ দিনের দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ভারতীয় অর্থনীতিতে ধস নেমেছে৷ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার আর্থিক নীতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের জেরে ভারতের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে৷ এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য দ্রুত কিছু পদক্ষেপ করতে হবে৷ আরবিআইয়ের পরামর্শ মেনেই বিমান চলাচলের উপর কিছুটা ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যাত্রীসংখ্যা সীমিত রাখার জন্য বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। বিমানের প্রতিটি ক্লাসেই ফাঁকা রাখা হবে মাঝের আসন৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷  
গোটা দেশে লকডাউন থাকলেও, সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলির উপর কড়া নজর রাখা হবে৷ বুধবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এই মুহূর্তে প্রত্যেকের জীবন বাঁচানোই সরকারের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য৷ জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ৷ এই পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতেও পারে৷’’

এদিকে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে ইতিমধ্যেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে নবীন পট্টনায়েক সরকার৷ মনে করা হচ্ছে, ওডিশার পথে হেঁটেই  লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে পারে কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, আসাম, মধ্যপ্রদেশে এবং ছত্তিশগড়৷ এদিকে, লকডাউনের মধ্যেই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের৷ এই নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৯৷ মোট আক্রান্ত ৬,৪১২৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 4 =