লখনউ: অতিমারির জেরে বন্ধ হয়ে গেছে কর্মসংস্থান। কাজ হারিয়ে নিজের নিজের রাজ্যে ফিরে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকের দল। এই শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। ২০ জুন গৃহীত ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পের অধীনে শীঘ্রই ‘আত্মনির্ভর উত্তরপ্রদেশ রোজগার অভিযান’ চালু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পে যোগীর রাজ্যের ৩১টি জেলায়, ১২৫ দিনের মধ্যে ১.২৫ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের ছ’টি জেলার গ্রামবাসীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কেন্দ্রের এই উদ্যোগে যুক্ত হতে সহায়তা করবে ওই রাজ্যের কমন সার্ভিস সেন্টার এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি। মোদীর অন্যান্য সব প্রকল্পের মতোই এটির একটি আকর্ষক স্লোগান বানানো হয়েছে, তা হল— ‘রোজগার কা নয়া অভিযান, হর শ্রমিক কো কাম।’ অর্থাৎ, রোজগারের নতুন অভিযান, প্রতিটি শ্রমিকের জন্য কাজ। প্রসঙ্গত, অতিমারির প্রভাবে রাজ্যে ফিরে গেছেন ইউপি-র প্রায় ৩০ লক্ষ শ্রমিক।
প্রকল্পে যেমন শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তেমনই নতুন ব্যবসায়ের উদ্যোগকে সাহায্য করা এবং বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের ৩১টি জেলা সামিল থাকবে এবং এই সুযোগে যোগীর সরকারও এতদিন শ্রমিক কল্যাণে যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখানোর সুযোগ পাবে। বিভিন্ন দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে ১২৫ দিনের মধ্যে ১.২৫ কোটি শ্রমিক বা কর্মী কাজের সুযোগ পান।
ইতিমধ্যেই পথ চলা শুরু করেছে এমন উদ্যোগগুলিকে মোট ৫৯০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এবং নতুন উদ্যোগের জন্য প্রদেয় ঋণ ধার্য হয়েছে মোট ৩,২২৬ কোটি টাকা। যে ৩১টি জেলা এই যোজনার আওতায় পড়ছে সেগুলি হল— সিদ্ধার্থনগর, প্রয়াগরাজ, গোন্ডা, মহারাজগঞ্জ, বহারাইচ, বলরামপুর, জৌনপুর, আজমগঞ্জ, হরদোই, বস্তি, গোরখপুর, সুলতানপুর, কুশীনগর, সন্ত কবির নগর, বান্দা, আম্বেদকর নগর, সীতাপুর, বারাণসী, গাজিপুর, প্রতাপগড়, রায় বরেলি, অযোধ্যা, দেওড়িয়া, অমেঠি, লখিমপুর খেরি, উন্নাও, শ্রাবস্তী, ফতেপুর, মির্জাপুর, জালাউন এবং কৌশাম্বী।