মানালি: অটল টানেল এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মানালি এবং লেহ-র মধ্যে সংযোগকারী এই সুরঙ্গ সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অনেক বাধা দূর করবে। কমবে যাতায়াতের সময় এবং একইসঙ্গে তা সহজও হবে। এর ফলে কৃষকরা সহজেই তাঁদের ফসল মানালির কিষাণ মান্ডিতে নিয়ে যেতে পারবেন এবং সারাবছর ফসলের আমদানি থাকবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভানে এবং হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। সুড়ঙ্গটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,”এই সুরঙ্গ ভারতের সীমান্ত এলাকার সংযোগের পরিকাঠামো আরও উন্নত করে তুলবে। তাঁর দাবি, এটি বিশ্বমানের যোগাযোগ মাধ্যমের উদাহরণ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, দেশের সীমান্ত এলাকার পরিকাঠামো উন্নত করার দরকার ছিল, যদিও তার কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি বা কাজ শুরু হয়নি৷ তিনি বলেন, এই সুড়ঙ্গ শুধু হিমাচলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ না, এটি লাদাখের সঙ্গে দেশের সংযোগকারী সেতুও বটে। পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়েতের যাত্রাপথ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কমানোর তাৎপর্য অনেক।
১০.৫ মিটার চওড়া এবং ৫.৫২ মিটার উঁচু এই সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করা হয় ১৯৮৩ সালে। যদিও ২০১০ সালে এর কাজ শুরু হয়। ৩,২০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা এই অত্যাধুনিক সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ গাড়ি এবং ১৫০০ ট্রাক যাতায়াত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুড়ঙ্গটি দিয়ে যাতায়াতের সময় গাড়ির সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।
এই অটল সুড়ঙ্গের সঙ্গে একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে নিম্মু-পদুম-দর্চা যাওয়ার রাস্তা। এই দুটি রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ তৈরীর ফলে সীমান্তে সেনা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম আদান প্রদানের সুবিধা হবে বলে সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে। নিম্মু-পদুম-দর্চা রাস্তাটিও তৈরির কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।