পিএম-কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম স্বস্তি কেন্দ্রের, তহবিল হস্তান্তর নয়!

পিএম-কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম স্বস্তি কেন্দ্রের, তহবিল হস্তান্তর নয়!

 

নয়াদিল্লি: সমস্ত বিতর্ক অবসান ঘটিয়ে পিএম-কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে এবার বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত৷ আর তার জেরে সুপ্রিমকোর্টে বড় স্বস্তি পেয়েছে কেন্দ্র৷

পিএম-কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে কেন্দ্রকে স্বস্তি দিয়ে মামলার অবস্থা স্পষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ পিএম-কেয়ার্স ফান্ডের অর্থ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পাঠানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল নিয়ে নতুন করে কোনও পরিকল্পনা নেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ করোনা মোকাবিলায় বিষয়টিকে সামনে রেখে পিএম-কেয়ার্স ফান্ড গঠন করা হয়েছিল৷

পিএম-কেয়ার্স ফান্ডের অর্থ বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পাঠানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ সেই আবেদন খারিজ করে আজ দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পিএম-কেয়ার্স ফান্ডের অর্থ  কোনভাবেই অন্য কোনও তহবিলে জমা করা যাবে না৷ সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণায় পিএম-কেয়ার্স ফান্ডের অর্থ শুধুমাত্র করোনা মোকাবিলায় ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়ে গেল কেন্দ্র৷

যদিও, এই ফান্ড নিয়ে কম বিতর্ক ওঠেনি৷ কখন চিনা অনুদান নেওয়া থেকে শুরু করে আইন ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছিল৷ গতমাসে সুপ্রিম কোর্টে পিএম কেয়ার্সের বিরুদ্ধে একটা জনস্বার্থ মামলা করা হয়৷ খানে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, পিএম কেয়ারসের সব টাকা পিএমএনআরএফের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে৷ ত্রাণ নেওয়ার জন্যই এই তহবিল গঠন করা হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়৷ এখানে কাউকে জোর করা হয়নি। মানুষ স্বেচ্ছায় টাকা দিয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় আগের শুনানিতে৷

আবেদনকারীদের দাবি ছিল, যে এনডিআরএফ আগের থেকেই আছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের ধারা ৪৬ অনুযায়ী। সেখানে নতুন করে পিএম কেয়ারস হলে সেটির আইনি কোনও বৈধতা নেই৷ তাই সেখানে জমা পড়া টাকা এনডিআরএফে ক্রেডিট হওয়া উচিত৷ আজ শুনানিতে সেই সমস্ত দাবি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

পিএম কেয়ার্স আগেও বিতর্কের মুখে পড়েছে। পিএমকেয়ার্সের টাকা কোথায় খরচ হয়েছে এই নিয়ে আরটিআই করা হয়৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সেই আরটিআইয়ের উত্তরে জানানো হয়, পিএম কেয়ার্স কোনও কোনও সরকারি ত্রাণ তহবিল নয়৷ এরপরেই প্রধানমন্ত্রী বিতর্কের মুখে পড়েন৷ এবার সুপ্রিম কোর্টে মিলল বড় স্বস্তি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − fourteen =