নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আবহে ‘পিএম কেয়ারস’ ফান্ড গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশ তথা বিদেশ থেকে অনুদান জমা পড়ে সেই ফান্ডে। কিন্তু এই ফান্ড নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময় জানিয়ে এসেছে যে এই ফান্ড সরকারি তহবিল নয়। এখন হঠাৎ আবার বয়ান পাল্টালো কেন্দ্র। নতুনভাবে যে আরটিআই করা হয়েছিল তার উত্তরে সরকারের তরফে জানানো হল, পিএম কেয়ারস এমন একটি সংস্থা যার মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণে সরকারের হাতেই রয়েছে! অর্থাৎ এটি সরকারি তহবিল। কেন্দ্রীয় সরকারের এই উত্তরে নতুন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হল পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়ে।
নতুন করে একটি আরটিআই করা হয় এই ফান্ড সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য। তার উত্তরেই শুক্রবারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পিএম কেয়ারস এমন একটি সংস্থা যার মালিকানা, নিয়ন্ত্রণ এবং গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই ফান্ডের সরকারিভাবে কোনরকম অনুদান দেওয়া হয়নি, যা অনুদান জমা পড়েছে তা ব্যক্তিগত, প্রবাসী ভারতীয় এবং বিদেশী সংস্থা থেকে শুরু করে একাধিক সংগঠনের তরফে। এর পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে, তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী এই তহবিল আরটিআই-এর আওতায় পড়বে না। সেই প্রেক্ষিতেই নতুন করে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সরকারি এই বয়ানে রয়েছে বিভ্রান্তি। এই বক্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এই ফান্ড এমন একটি ফান্ড, যেটাকে সরকারি তহবিল বলা হলেও সেটার কোনো তথ্য সরকারে দেবে না। আবার এও মনে হচ্ছে যে, সরকারি তহবিল না হলেও এই তহবিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে বিস্তর বিতর্ক।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং লকডাউন কার্যকরী হওয়ার ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল তা সামাল দেওয়ার জন্যই চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই তহবিলের ঘোষণা করেছিলেন। দিল্লির রেভিনিউ বিভাগের অধীনে গঠন করা হয়েছিল এই ফান্ড। এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী। তা সত্ত্বেও এই তহবিলকে সরকারি তহবিল বলতে রাজী হচ্ছিল না কেন্দ্রীয় সরকার। এখন নতুন আরটিআই-এর উত্তরে তারা এই ফান্ডের নিয়ন্ত্রণ এবং মালিকানা নিলেও তথ্য দিতে এখনও রাজি নয়। এখন ধোঁয়াশা বর্তমানে রেখেই স্পষ্ট বলা হচ্ছে, এই ফান্ডের নিয়ন্ত্রণ এবং মালিকানা সরকারের কিন্তু এই ফান্ড সরকারি নয়।