নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের জন্য যত রকমের প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে তা এখনও পরীক্ষা এবং প্রয়োগের স্তরেই আটকে আছে। বাজারে পেতে এখনও কতদিন তা ঠিক করে বলতে পারছেন না কেউই। এমতাবস্থায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে নানান উপায় অবলম্বন করছেন চিকিৎসকরা। তারই মধ্যে একটি হল কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। প্রথমে সাড়া জাগালেও এখন জানা যাচ্ছে, মৃত্যু হার কমাতে তেমন আশাব্যঞ্জক সহায়তা করে না এই প্লাজমা থেরাপি। গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের সুস্থ করতেও কাজে দিচ্ছে না তা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের এক গবেষণাই তথ্য পেশ করেছে।
গত ২২ এপ্রিল থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের সরকারি এবং বেসরকারি মোট ৩৯ হাসপাতালের কোভিড রোগীদের ওপর চালানো হয়েছিল এই সমীক্ষা। এই রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি যা পরিভাষায় 'প্লাসিড ট্রায়াল' প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই পদ্ধতির মূল উপায় হল করোনা থেকে সুস্থ হওয়া কোনও রোগীর শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে তা কোভিড আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো। আশা ছিল এর ফলে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। মোট ৪৬৪ জন মধ্যম পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীদের এই পরীক্ষায় সামিল করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২২৯ জনের চিকিৎসায় কনভালেসেন্ট প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া সেরা স্ট্যান্ডার্ড কেয়ার তো ছিলই। বাকি ২৩৫ জনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড কেয়ারকেই অনুসরণ করা হয়।
দেখা যায় প্লাজমা থেরাপিতে ২৮ দিনের মর্টালিটি অথবা দ্রুত সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। জানা গেছে, এই পুরো প্রক্রিয়াটাই সম্পন্ন হয়েছে আইসিএমআরের দ্বারা। বহু কাল ধরেই জীবাণু বাহিত রোগের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার হয়ে চলেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাসের ক্ষেত্রে তা সেরকম সাড়া জাগাতে পারেনি। এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে আর একটি সমস্যা হল প্লাজমার জোগান। সেই সঙ্গে এই চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সুযোগ সুবিধাও দেশের সব হাসপাতালে নেই।