নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের ওই রায়ে কমব্যাট উইং ছাড়া সেনাবাহিনীর সব স্তরে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ম চালু করতে বলা হয় কেন্দ্রকে। শর্ট সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আওতায় যে সমস্ত মহিলা ১৪ বছরের বেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের স্থায়ী কমিশনে শামিল করতেও কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও, এখনও স্থায়ী কমিশন গঠন করা হয়নি৷ এই নির্দেশ পালনের জন্য মঙ্গলবার কেন্দ্রকে আরও একমাস সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
এদিন আদালত জানায়, স্থায়ী কমিশন গঠনের বিষয়ে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দেশ মেনে চলতে হবে কেন্দ্রকে৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বেঞ্চকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে৷ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে আদেশ জারি করা বাকি৷ প্রসঙ্গত, এর আগে কোভিড পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কার্যকর করার জন্য ছ’মাসের সময় চেয়েছিল কেন্দ্র৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঐতিহাসিক রায়ে আদালত জানিয়েছিল, সেনাবাহিনীতে মহিলারা যাতে পুরুষদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পান, সে দিকে নজর দিতে হবে৷ সেনা বাহিনীতে মহিলা নিয়োগের এই মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, 'মহিলারা শুধু বাড়ির কাজই করতে পারেন, এই ধরনের প্রাচীন ধারণা অত্যন্ত বিরক্তিকর৷ এই ধারনা ভেঙে ফেলুন৷'
এর আগে হাইকোর্টের রায় ছিল, সেনাবাহিনীতে পুরুষদের মতোই সমান অধিকারে নিয়োগ করতে হবে মহিলাদেরও৷ কিন্তু এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র৷ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত৷
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চিকিৎসা ক্ষেত্রের বাইরে অন্য ভূমিকায় মহিলাদের নিযুক্তি শুরু হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্থায়ী কমিশনড অফিসার পদে অর্থাৎ কুড়ি বছর কাজ করার সুযোগ মহিলারা পাননি। পদোন্নতি বা পেনশনের সুযোগ ছাড়া শুধুমাত্র ১৪ বছর কাজের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা৷