নভেম্বরে শীর্ষে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ! ICU-ভেন্টিলেটরের ঘাটতির আশঙ্কা ICMR-এর

করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আগামী ৫ মাসের মধ্যে সেই সঙ্কট আরও জোরালো হচ্ছে বলেই তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্স (আইসিএমআর)। আর তার  জেরেই এবার আইসোলেশন শয্যা, আইসিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটরের ঘাটতির আশঙ্কা করছে তারা। এক্ষেত্রে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে বলেই আইসিএমআর-এর পক্ষে জানানো হয়েছে।

 

নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আগামী ৫ মাসের মধ্যে সেই সঙ্কট আরও জোরালো হচ্ছে বলেই তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্স (আইসিএমআর)। আর তার  জেরেই এবার আইসোলেশন শয্যা, আইসিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটরের ঘাটতির আশঙ্কা করছে তারা। এক্ষেত্রে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে বলেই আইসিএমআর-এর পক্ষে জানানো হয়েছে।

দেশে করোনা পরিস্থিতি হু-হু করে বাড়ছে। এরই মধ্যে লকডাউনের পরিবর্তে আনলক ব্যবস্থা জারি হয়েছে দেশ জুড়ে। গবেষণার দাবি, দেশজুড়ে লকডাউন জারির ফলে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। নইলে সংক্রমণের হার আরও বাড়ত বলে মনে করছেন গবেষকরা।  তাঁদের পরিসংখ্যান অনুসারে, লকডাউনের ফলে প্রায় সংক্রমণের হার ৮৩ শতাংশ কমেছে। যা এই দেশে সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছনোর সময়কে পিছিয়ে দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে আশঙ্কা, আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে। চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের কমিউনিটি অফ মেডিসিন অ্যান্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর গবেষকরা তাঁদের সমীক্ষায় এমনটাই জানিয়েছেন।

এছাড়াও লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষণাতেও উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার খবর। সেই পরিসংখ্যান অনুসারেই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই চিকিৎসা পরিকাঠামোয় ঘাটতির কথা জানিয়েছে আইসিএমআর। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় ৫.৪ মাস ধরে আইসোলেশন শয্যা, ৪.৬ মাস ধরে আইসিইউয়ের শয্যা ও প্রায় ৩.৯ মাস ধরে ভেন্টিলেটরের অভাব দেখা দিতে পারে। এর ফলে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বেহাল আকার নেবে বলেই ধারণা তাদের।

ইতিমধ্যে দৈনিক করোণা সংক্রমণের হার ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। যেভাবে বাড়ছে, তাতে এই আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছেন না নেটিজেনরা। ৯ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে ৯৫৮টি কোভিড ১৯ হাসপাতালে ১,৬৭,৮৮৩টি আইসোলেশন শয্যা, ২১,৬১৪টি আইসিইউ এবং ৭৩,৪৬৯টি অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড রয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 4 =