মালওয়া: দেশজুড়ে লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণে বেসামাল অবস্থা৷ এই সময় মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছেন বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী৷ কোথাও করোনায় মৃতদের দেহ পোড়াতে অস্বাভাবিক হারে টাকা চাওয়া হচ্ছে৷ কোথাও ভুয়ো ভ্যাকসিন, ওষুধ, ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে৷ কোথাও মাত্র চার কিলোমিটারের জন্য ১০ হাজার টাকা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া চাওয়া হচ্ছে৷ আবার কোথাও অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়, আবার টাকা নিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বদলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি হওয়ার মতো ঘৃণ্য খবরও প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে৷ কোথাও আবার এই সুযোগে টাকা রোজগার করতে হাতুড়ে চিকিৎসকরা মাঠে নেমে পড়েছেন৷
এবার এমনই এক চিত্র দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের আগর-মালওয়া জেলার ধনিয়াখেড়ি গ্রামে। সেখানে কোনও সঠিক পরিকাঠামো ছাড়াই গাছের তলায় শুইয়ে রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ গ্রামেরই এক হাতুড়ে চিকিৎসক এই ঘটনায় অভিযুক্ত। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গিয়েছে, হাইওয়ে থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি কমলালেবুর বাগানে প্লাস্টিকের শিটে পরপর শুয়ে রয়েছেন করোনা রোগীরা। গাছের ডাল থেকে ঝুলছে স্যালাইনের বোতল। কারও মুখেই মাস্ক নেই। নেই ন্যূনতম সুরক্ষাবিধিও। যদিও অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তল্লাশি করতে গেলেও ওই বাগানে গোটা কয়েক ফাঁকা ওষুধের বোতল ছাড়া আর কিছুই পায়নি । তবে অভিযুক্ত ওই হাতুড়ে চিকিৎসক ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তল্লাশি শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার উপসর্গ থাকলেও সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন গ্রামের মানুষরা, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামের প্রশাসনও সেখানকার বাসিন্দাদের বারবার হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন৷ এলাকার ব্লক মেডিক্যাল অফিসার মণীশ কুরিল ওই টেলিভিশন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অবিলম্বে সরকারের উচিত এই সমস্ত হাতুড়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। আর সকলের প্রতি অনুরোধ, কোভিডের লক্ষণ দেখা দিলে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলুন। নাহলে দেরি হয়ে যাবে।’