অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবর্তন করার লোকের অভাবে ৪ কোভিড রোগীর মৃত্যু

অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবর্তন করার লোকের অভাবে ৪ কোভিড রোগীর মৃত্যু

 
জয়পুর: অক্সিজেন না মেলায় করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা তো একরকম৷ এবার অক্সিজেন থাকলেও সিলিন্ডার পালটে দেওয়ার লোকের অভাবে  চারজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হল৷ এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল জয়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷

বুধবার ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের জয়পুরে কালাবাড় পুলিশ স্টেশন এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ জানা গিয়েছে, রাত ৯টার সময় হঠাৎই করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায় এবং সেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পালটে দেওয়ার কেউ না থাকায় মৃত্যু হয় এই চারজনের৷ যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানায়, ওই চারজনের অবস্থা সংকটজনক ছিল, তাই তাঁরা মারা গিয়েছেন৷ এক রোগীর ভাই জানালেন, ‘ভাইকে ২২ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ ২৬ এপ্রিল অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছিল৷ কিন্তু ২৭ তারিখ সকালে ভাইয়ের পাশের বেডেই একজন মারা যাওয়ায় হাসাপাতালের কর্মীরা ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেননি৷ রাত প্রায় ৯টা নাগাদ আমি ভাইকে জল দিই৷ ওর অক্সিজেনের মাত্রাও তখন স্বাভাবিক ছিল৷’ ভাইয়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি রাতের খাবার আনতে নীচে নেমেছিলাম৷ তার পরেই হঠাৎ একটা হইচইয়ের শব্দে সঙ্গে সঙ্গে ফিরে যাই ৷ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখি ভাই অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করছে৷ আমি নার্সকে অক্সিজেন দেওয়ার কথা জানালে, তিনি সিঁড়ি দিয়ে নীচে চলে যান আর তারপর পালিয়ে যান৷’

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দু’জন কোভিড রোগীর মৃত্যুতে ভয় পেয়ে হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যান৷ ফলে সেসময় যেসব রোগীর অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা আর নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডার পাননি৷ আর তাতেই মারা যান বাকি দুই রোগীও৷ যদিও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি৷ বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিকিৎসক বিজয় কাপুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ৪ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনার কথা তাঁর কানে এসেছে৷ কিন্তু কী অবস্থায়, কেন তাঁরা মারা গেলেন, সেই তথ্য তাঁর জানা নেই৷ কালাবাড় পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউজ অফিসার বলেন, “হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল, কিন্তু সিলিন্ডারগুলো বদলে দেওয়ার কেউ ছিল না৷ মঙ্গলবার রাতেই চার জন কোভিড রোগী মারা যান৷ তাদের পরিবারের সদস্যরা এরপর অভিযোগ করেন কোনও কর্মী না থাকায় অক্সিজেন সিলিন্ডার না পালটানোয় মারা গিয়েছেন চার জন রোগী৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 13 =