নয়াদিল্লি: লাদাখ সংঘর্ষের পর চিনা একাধিক অ্যাপ বন্ধ করে কেন্দ্র সরকার। চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়েছে সমগ্র দেশ। যার প্রভাব পড়েছে মোবাইল কোম্পানি ভিভোর উপরেও। যার ফলে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সরশিপ থেকে সর যেতে হয়েছে এই সংস্থাকে। আর এই ফাঁকা হয়ে যাওয়া জায়গা চাই পেতে তৎপর রামদেবের পতঞ্জলি। শোনা যাচ্ছে এই সংস্থা নাকি আইপিএল খেতাবের স্পনসরশিপ পাওয়ার চেষ্টা করছে।
রবিবার এই খবর জানিয়েছেন যোগগুরু রামদেব স্বয়ং। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় কোনও কোম্পানির আইপিএলের স্পনসরশিপের জন্য এগিয়ে না এলে পতঞ্জলি চলতি বছরের আইপিএলের খেতাবের স্পনসরশিপ পাওয়ার চেষ্টা করবে। কোনওভাবেই যাতে চিনে কোন কোম্পানি ভারতীয় বাজারে থাবা না বসাতে পারে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রামদেব। তবে এখনও পর্যন্ত পতঞ্জলি স্পনসরশিপের জন্য বিড করেনি। তাদের বক্তব্য, যদি কোনও ভারতীয় কর্পোরেট সংস্থা এগিয়ে না আসে তাহলেই একমাত্র পতঞ্জলি ময়দানে নামবে। তা না হলে পতঞ্জলি কোনও প্রতিযোগিতায় যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে রামদেবের এই বক্তব্যের আগেই পতঞ্জলির মুখপাত্র এস কে তিজারাওয়ালা একটি সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন এ বছর আইপিএলে টাইটেল স্পনসরশিপ পাওয়ার চেষ্টা করবে পতঞ্জলি। পতঞ্জলি ব্র্যান্ডকে গ্লোবাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। এই সম্পর্কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রস্তাব যাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি আর তারপরেই রামদেবের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসে। ডোকালামের পর থেকেই ভারত-চিন সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করেছে। আর লাদাখে সংঘর্ষ সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে। তাই চিনা জিনিস বর্জনের দাবি উঠছে।
বিসিসিআই যখন চিনা মোবাইল সংস্থা ভিভোর স্পনসরশিপ চুক্তি বাতিল করে তারপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে দাবি উঠছিল স্পনসরশিপের জন্য যেন পতঞ্জলি বিড করে। কোনও খেলার ভারতীয় দলের সঙ্গে কোনও চিনা কোম্পানির নাম জড়াক এটা কোন ভারতবাসী চাইছে না। যার ফলে ভারতীয় কোন কর্পোরেট সংস্থা আইপিএল স্পনসর করুক বলে দাবি উঠছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সেই ডাকে সাড়া দেই এগিয়ে আসতে চাইছে পতঞ্জলি। কিন্তু যদি পতঞ্জলি আইপিএলের স্পনসর্শিপ পায় তাহলে আইপিএলের থেকে পতঞ্জলি লাভ অনেক বেশি হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পতঞ্জলি সে রকম কোনও স্টার ফেস নেই। যার ফলে আইপিএল থেকেই এর ব্র্যান্ড বিশ্বের কাছে পরিচিত হবে। ফলে আইপিএলের থেকে লাভ অনেকটা সংস্থারই হবে বলে মত অভিজ্ঞ মহলের।