নয়াদিল্লি: রাজনীতির অপরাধীকরণ রুখতে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের৷ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে প্রার্থী ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা রয়েছে কিনা৷
আরও পড়ুন- প্রার্থী ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে ক্রিমানাল রেকর্ড, সুপ্রিম নির্দেশ
গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত একটা মামলায় শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানিয়েছিল, প্রার্থী মনোনীত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বা মনোনয়ন পেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে৷ সেই রায় সংশোধন করেই এদিন বিচারপতি আরএফ নরিম্যান এবং বিচারপতি বিআর গাভাই-এর বেঞ্চ জানায়, প্রার্থীর নাম ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে তাঁর ক্রিমিনাল রেকর্ড (যদি থাকে) সহ যাবতীয় তথ্য৷
দিন কয়েক আগে এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন৷ সেখানে তিনি বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল তার দলের প্রার্থীর ক্রিমিনাল রেকর্ড প্রকাশ না করলে সেই দলের প্রতীক যেন ফ্রিজ করা হয়৷ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই এদিন শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ গত বছর সুপ্রিম নির্দেশে বলা হয়েছিল, কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড থাকলে তা দলের ওয়েবসাইটে জানাতে হবে৷ এমনকী কেন এমন একজন নেতাকে প্রার্থী করা হল তাও জানাতে হবে৷ যাবতীয় রেকর্ড সংবাদপত্রে প্রকাশ করার কথাও বলা হয়৷ শুধু সুপ্রিম কোর্টই নয়, নির্বাচন কমিশনের তরফেও বলা হয়, কোনও প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা থাকলে বা অতীতে কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকলে তা সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে হবে৷ টিভিতেও জানাতে হবে৷ কোনও ছোটখাটো কাগজে দিলে হবে না৷ যে কাগজের সার্কুলেশন বেশি, সেখানেই বিজ্ঞাপন দিতে হবে৷
এদিন বিচারপতি নরিম্যান বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে গত চারটি সাধারণ নির্বাচনে, রাজনীতিতে অপরাধীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৪ সালে, ২৪% সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঝুলে ছিল৷ ২০০৯ সালে তা বেড়ে ৩০%, ২০১৪ সালে ৩৪ % এবং ২০১৯ সালে ৪৩% সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল৷ তাই এই পদক্ষেপ৷’’ এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস৷