নয়াদিল্লি: একদিকে যখন হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোস্যাল মিডিয়াকে ফেক নিউজ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি, ঠিক তখন ফেসবুকে ১২ কোটি টাকা খরচ করল বিজেপি৷ সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কড়া পদক্ষেপ ও বিজেপির এই লোগ্নি ঘিরে তুঙ্গে তরজা৷
লোকসভা ভোটের আগে হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামের মতো সোস্যাল মিডিয়াকে ফেক নিউজ আর ফেক অ্যাকাউন্ট নিয়ে আরও বেশি কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। বুধবার তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এই সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে বলা হয়েছে যতটা ফেক নিউজ ছড়ানো আটকাতে কড়াকড়ি হওয়া উচিত ছিল সেটা কিন্তু হচ্ছে না। রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে সংসদীয় কমিটি বলেছে, ফেক নিউজ ট্র্যাক করার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাও থাকা দরকার। তার পরিবর্তে এই সংস্থা শুধুই ব্যবহারকারীদের উপরই দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু ওইসব নিউজের উৎসের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিম্বা অবিরত সেগুলি মনিটরিং করা হচ্ছে কীভাবে সেটা নিয়ে কোনও বিশেষ রেগুলেশন আছে কিনা তা জানানো হচ্ছে না।
সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বিজেপি ও মোদি সমর্থক সংগঠনগুলি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত ফেসবুকে ভারত কি মন কি বাত নামে একটি ফেসবুক পেজে খরচ করা হয়েছে ১২ কোটিরও বেশি টাকা।
তাতে প্রশ্ন মোদির কথা, জবাব পাওয়া যায়। মোট ১৫৫৬টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে এই পেজ। এবছরের ২৭ জানুয়ারিতে চালু হওয়া এই পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লাখ। প্রতিটি বিজ্ঞাপনে খরচ হয়েছে গড় ৭৭০০ টাকা। ইন্ডিয়া টুডে জানাচ্ছে, নেশন উইথ নমো ফেসবুক পেজের ফলোয়ার ১১ লাখ। তারা গড়ে ৬ হাজার টাকা বিজ্ঞাপনপিছু খরচ করে মোট ৬৪ লাখ টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। তারা দিয়েছে ১০৭৪টি বিজ্ঞাপন। এর পরে রয়েছে মাইগভইন্ডিয়া। তারা খরচ করেছে ৩৪ লাখ। ১২৩টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। বিজ্ঞাপনপিছু ২৭ হাজার খরচ করেছে তারা। এই পেজের ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার। নিউজ হান্ট নামে একটি খবরের অ্যাপ ১৬টি বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে ৩৩ লাখ। বিজেপির পেজে দুটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার করে। তবে সবথেকে বেশি যে নেতার বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে, তিনি নবীন পট্টনায়েক। ৩২টি বিজ্ঞাপনে তাঁর পেজে খরচ করা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অমিত শাহর পেজে বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে ২ লাখের বেশি।