নয়াদিল্লি: এই বছরটাকে বিদায় দিতে সবাই যেন ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এই অভিশপ্ত বছর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাটিয়ে ফেলতে চায় বিশ্ববাসী। তবে প্রত্যেক বছর যে ভাবে নতুন বছরকে আপন করে নেয় বিশ্ব, ২০২১ সালকে হয়তো সেই ভাবে পারবে না আপন করতে, কারণ সেই করোনাভাইরাস। বর্ষবরণের পার্টিতে যাতে নিয়ম লঙ্ঘন না হয় সেই দিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে একাধিক রাজ্য প্রশাসন। উল্টোদিকে একাধিক বড় বড় হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং নাইট ক্লাব নিজেদের মতো করে নিয়ম জারি করার পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, এই বছর সাধ করে বর্ষবরণ করতেও পারবে না বিশ্ববাসী।
মহারাষ্ট্রের ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নাইট কারফিউ, একই নিয়ম জারি করা হয়েছে কর্নাটকেও। বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পাশাপাশি নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আরো আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে তার কারণ সুস্থতার হার বেড়েছে অনেকটাই। কিন্তু এরই মাঝে যদি নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় দেশে, তাহলে আবার সেই পুরনো আতংক ফিরে আসবে সকলের মনে। লকডাউন প্রক্রিয়া শিথিল করে আনল পর্ব শুরু হওয়ার পরেও একাধিক রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়নি এবং আগামী কয়েক মাস হবে না বলেই অনুমান। সেই প্রেক্ষিতেই বর্ষবরণের রাতে যেন কোনভাবে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি লংঘন না হয় তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। বড় বড় হোটেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফিজিক্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখার জন্য বর্ষবরণের রাতে সেইভাবে পার্টির আয়োজন করা হবে না, অতিথিদের নিজেদের রুমে রুমে খাবার পরিবেশন করে দেওয়া হবে। সেই ভাবে পার্টি করতে হলে তা ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হবে। কোনভাবেই গ্যাদারিং করা যাবে না।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় এবং সব রাজ্য সরকার। দেশের সুস্থতার হার বেড়েছে অনেকটাই যা রীতিমতো স্বস্তি দিয়েছে সকলকে। তবে এর মাঝে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র তাই সামাজিক এবং ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখার ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক বছর দেশ তথা বিশ্বের সর্বত্র বর্ষবরণের পার্টিকে কেন্দ্র করে আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়। তবে এই বছরটা সত্যি একেবারে আলাদা তাই নতুন করে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয় কেউ। তাই বর্ষ বরণের রাতে নিয়ম আরো কঠোর করার পরিকল্পনা রয়েছে। সকলের একটাই আশা, নতুন বছর যেন সেই আগের মত স্বাভাবিক পরিবেশ নিয়ে আসে, কেউ আর অভিশপ্ত পরিস্থিতিতে জীবন কাটাতে চায় না।