মুম্বই: নৃশংশ৷ চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হল তিনজনকে৷ শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রের পালঘর এলাকার গড়চিঞ্চলে ঘটনাটি ঘটে৷ এই ঘটনায় ৯ জন নাবালক সহ ১১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে তাদের৷ অন্যদিকে, ৯ নাবালককে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল হোমে৷
লকডাউনের যাবতীয় বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করে প্রায় ২০০ জন উন্মত্ত জনতা চোর সন্দেহে তিন ব্যক্তির উপর হামলা চালায়৷ জানা গিয়েছে নাসিক থেকে সুরাতে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু তাঁদের চোর বলে রটিয়ে দেওয়া হয়৷
রাস্তায় আটকে পড়ার ভয়ে মুম্বই-গুজরাট হাইওয়ের বদলে পালঘর জেলার পিছন দিকের রাস্তা দিয়ে যাচ্চিলেন তাঁরা৷ গড়চিঞ্চলে গ্রামের কাছে বনবিভাগের পাহারাদার তাঁদের রাস্তা আটকায়। পাহারাদারের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের উপর আচমকা হামলা করে একদল মানুষ৷
হামলা হতেই কাসা থানায় ফোন করা হয়। সরকারি বয়ান অনুসারে চারজন পুলিশ আধিকারিক যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন ততক্ষণে গাড়ি উল্টে ফেলা হয়েছে। পুলিশ কর্মীদেরও হুমকি দেওয়া হয়। কেউ কেউ অকুস্থলে দাঁড়িয়ে ঘটনাটির ভিডিও করে৷ ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে জনতা গাড়ি উল্টে দেবার পর, পাথর, রড় ও কুড়ুল দিয়ে গাড়িতে হামলা করে। তিনজনেই সে সময়ে গাড়ির মধ্যে ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও কিছু ১২জন পুলিশকর্মী মিলে কোনওমতে তিনজনকে উদ্ধার করে দুটি আলাদা গাড়িতে তোলে। পালঘরের কালেক্টর জানিয়েছেন, “প্রায় ২০০ উন্মত্ত জনতা পুলিশের গাড়িতে হামলা করে তিনজনকে বের করে নিয়ে যায় ও কুপিয়ে মারে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।” নিহতরা হলেন, সুশীল গিড়ি (৩০), চিকনে মহারাজ কল্পবৃক্ষ গিড়ি (৭০) এবং তাঁদের গাড়ি চালক নীলেশ তেলওয়াড়ে (৩০)৷
The cruelty with which the mob lynching in #Palghar happened, is beyond inhuman.
I demand a High Level Enquiry and strictest action be taken at the earliest.#Maharashtra #Mumbai pic.twitter.com/tnagputI7J— Devendra Fadnavis (@Dev_Fadnavis) April 19, 2020