হোয়াটসঅ্যাপে নজর রাখছে পাক গুপ্তচররা, সেনাকে সতর্ক করল গোয়েন্দা দপ্তর

আজ বিকেল: ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে যখন ফাঁদে ফেলা যাচ্ছে না তখন WhatsApp-কেই মাধ্যম করে ভারতীয় সেনার উপরে নজর রাখার কৌশল করেছে পাকিস্তান। আইএসআই-সহ সেদেশের বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থা একাজে রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে। ভারতীয় সেনা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন হোয়াটস অ্যাপে কী বার্তা লেনদেন করছেন সেদিকে নজর রাখছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাগুলি। তারা সেই মেসেজগুলি পড়ে বোঝার চেষ্টা করছে,

হোয়াটসঅ্যাপে নজর রাখছে পাক গুপ্তচররা, সেনাকে সতর্ক করল গোয়েন্দা দপ্তর

আজ বিকেল: ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে যখন ফাঁদে ফেলা যাচ্ছে না তখন WhatsApp-কেই মাধ্যম করে ভারতীয় সেনার উপরে নজর রাখার কৌশল করেছে পাকিস্তান। আইএসআই-সহ সেদেশের বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থা একাজে রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে। ভারতীয় সেনা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন হোয়াটস অ্যাপে কী বার্তা লেনদেন করছেন সেদিকে নজর রাখছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাগুলি। তারা সেই মেসেজগুলি পড়ে বোঝার চেষ্টা করছে, সেনা অফিসাররা কে কী প্রকৃতির মানুষ। তাদের পছন্দ-অপছন্দ কীরকম। সেজন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে সেনাকর্মীদের বলা হয়েছে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে মেসেজ পাঠান।

এমনিতেই পাকিস্তানি গুপ্তচররা বিভিন্ন মহিলার নামে ফেক WhatsApp অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখান থেকে মেসেজ পাঠাচ্ছে বহুদিন হল। যেনতেনপ্রকারে সেনা কর্তাদের ফাঁদে ফেলতে তারা কোনওরকম কসুর করছে না। মহিলার নাম নিয়ে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে সেখান থেকে কোনও সেনা অফিসারের ঘনিষ্ঠ হতে চায়। এইভাবে কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছে। ভুয়ো প্রোফাইল থেকে অনুরোধ করে একাধিক আর্মি অফিসারের থেকে জেনে নিয়েছে সেনাবাহিনীর নানা গুপ্ত তথ্য।সম্প্রতি পাকিস্তানের চর-রা কৌশলে ভারতের সেনাকর্মীদের কয়েকটি WhatsApp গ্রুপে ঢুকে পড়েছে। সেনা অফিসাররা কী বলাবলি করছেন, সব তারা জানতে পারছে। অনেক সময় তারা সেনাকর্মীদের জন্য সোশ্যাল সাইটে ফাঁদও পাতছে।

সেজন্য বড়সড় WhatsApp গ্রুপ দেখলেই সেনা কর্তাদের তার সদস্য হতে নিষেধ করা হচ্ছে। কেননা এইসব গ্রুপেই নাম ভাঁড়িয়ে রয়েছে পাক গুপ্তচরের দল। সুযোগ বুঝে সেনাকর্তাদের যাবতীয় তথ্য এরা হাতিয়ে নেবে। তারপর শুরু হবে ব্ল্যাকমেলিং। ইতিমধ্যেই WhatsApp-এ কয়েকজন সেনা অফিসারকে হুমকি মেলও পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ অফিসারকে সম্প্রতি ই-মেল পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আপনার মেয়ের কয়েকটি ভিডিও ছবি আমরা পেয়েছি। আপনি যদি মেলের সঙ্গে দেওয়া লিঙ্কটিতে ক্লিক না করেন, ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেব। এদিকে আতঙ্কিত হয়ে যদি ওই সেনাকর্তা লিঙ্কটি ক্লিক করেন তাহলে তাঁর কম্পিউটারে একটি ম্যালওয়ার আপনা থেকেই ইনস্টল হয়ে যাবে। তারপর না চাইতেই সমস্ত গোপন তথ্য চলে যাবে গুপ্তচরদের কাছে। সেকারণেই সেনার তরফে কড়া নির্দেশ জারি হয়েছে, পরিবারের কেউই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে পারবেন না যে তাঁদের বাড়ির এক সদস্য ভারতীয় সেনায় কর্মরত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *