নয়াদিল্লি: আকাশযুদ্ধের প্রস্তুতিতে চিন-পাকিস্তানকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল৷ বুধবার ফ্রান্স থেকে পাঁচটি রাফাল ফাইটার জেট ভারতের এসে পৌঁছতেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে পাকিস্তান৷ রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত শক্তির অধিকারী তার মোকাবিলা করার জন্য এই মুহূর্তে অন্তত চিন বা পাকিস্তান, কারও কাছেই যোগ্য জবাব নেই। রাফাল ভীতি থেকেই এদিন পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত৷’’
আরও পড়ুন- সরকারি সুবিধা ছাড়াই ৬০ দিনে ১৪৫ ফুট দীর্ঘ সেতু গড়লেন ৩ গ্রামের মানুষ
এখানেই থেমে থাকেনি ইসলামাবাদ৷ বিশ্ব দরবারে পাকিস্তানের অনুরোধ, বুঝিয়ে-সুজিয়ে এই অতিরিক্ত অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরি করা থেকে ভারতকে বিরত রাখুন৷ তা না হলে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে৷ প্রসঙ্গত, আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে লড়াকু রাফালের অবতরণের পর এটাই পাকিস্তানের প্রথম প্রতিক্রিয়া৷ অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই গেম চেঞ্জার’ মাল্টিরোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্টস ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিল৷ জোড়া ইঞ্জিনযুক্ত এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের একই সময়ে একসঙ্গে একাধিক কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে৷
আরও পড়ুন- লকডাউনে স্যানিটারি প্যাডের সংকট, ১৪ হাজার মহিলার পাশে দাঁড়ালেন এই তরুণী
এই যুদ্ধবিমান বায়ু থেকে বায়ু মেটেরো মিসাইল, মিকা মাল্টিমিশন মিসাইল এবং স্ক্যাল্প ডিপ-স্ট্রাইক ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম৷ এটি বহু দূর থেকে রায়ু থেকে ভূমিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম৷ ১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ৪৫টি নিশানায় এক সঙ্গে আঘাত হানতে পারে রাফাল। রাফালের বায়ু থেকে বায়ু এবং বায়ু থেকে ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষমতা ৩৭০০ কিলোমিটার। রাফালকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশন এয়ারক্রাফ্ট।
আরও পড়ুন- ৪,১৮২টি শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ করবে ONGC, সত্ত্বর আবেদন করুন
আকাশযুদ্ধে ভারতের শক্তি সর্বজনবিদিত৷ তবে রাশিয়ার কাছ থেকে সুখোই যুদ্ধবিমান কেনার ২৩ বছর পর এই প্রথম এত গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী যুদ্ধবিমান কিনল ভারত৷ এছাড়াও মাঝারি পাল্লার বায়ু থেকে ভূমি আঘাত হানতে সক্ষম নতুন জেনারেশনের হ্যামার (হাইলি এজাইল মডিউলার মিউনিসন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) মিসাইল আনছে ভারত৷ যা রাফালের সঙ্গে জোড়ার পর এর শক্তিকে আরও বাড়িয়ে দেবে৷
আরও পড়ুন- এক সময় সিপিএমের কুনজরে ছিলেন সোমেন, কীভাবে বদলেছে সমীকরণ?
পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বা চিনের জে-২০ যুদ্ধবিমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী ভারতের রাফাল৷ একাধিক প্রযুক্তিগত দিক থেকে ৪.৫ প্রজন্মের রাফালের তুলনায় জে-২০ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে৷ অন্যদিকে, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০২০-র সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১,৪৭২টি এয়ারক্রাফ্ট৷ সেখানে ভারতের হাতে রয়েছে ২,১২৩টি এয়ারক্রাফ্ট৷ একইভাবে ভারতের ফাইটার জেটের সংখ্যা ৫৩৮, আর পাকিস্তানের ৩৫৬৷