শ্রীনগর: পুলওয়াম ঘটনা এবং বালাকোট প্রত্যঘাটের বেশ অনেকদিন কেটে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত এলাকা ঘোষণা করার পর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পাকিস্তান। বরং এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছে তারা। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেছে ডেমোক্র্যাটসরা। বলা হচ্ছে, আমেরিকার নতুন সরকারের ইচ্ছায় ব্যাক-চ্যানেলে ভারত-পাকিস্তান আলোচনা শুরু হয়েছে। দিতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিবর্ষণ বন্ধ। কিন্তু এর মধ্যেই সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন হামলার পর ফের বেড়েছে উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল পাকিস্তানকে চরম পরিণতির জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন।
রবিবার নিয়ন্ত্রণ রেখার উপর থেকে ড্রোন হামলা হয়েছে – বায়ু সেনার ঘাঁটির হেলিকপ্টার হাঙ্গারের কাছাকাছি ড্রোন দুটি ইম্প্রভাইসেড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আই ই ডি ফেলে যায়। যদিও বড়সর ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া গিয়েছে। এদিকে অন্য একটি খবর আরও চমকপ্রদ। ওইদিন রাতের অন্ধকারে জম্মুর সেনাঘাঁটিতে দু’টি ড্রোন দেখা যায়। নজরে পড়ে সেনাকর্মীদের। ড্রোনদু’টিকে নিস্ক্রিয় করতে গুলি চালান তাঁরা। তবে গুলির নাগাল পেরিয়ে পালাতে সক্ষম হয় ড্রোনগুলি। সেনার তরফে গুলি চালনা শুরু হতেই সেগুলি অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। তল্লাশি শুরু হয়েছে। দুদিন পরপর একই রকমের ঘটনায় সতর্ক ভারত।
যদিও ভারতীয় বায়ুসেনা নিজেদের টুইট বিবৃতিতে ড্রোন হামলার কথা কিছু জানায়নি। বলা হয়েছে – দুটি দুর্বল বিস্ফোরণ ঘটেছে। স্থান – জম্মু-কাশ্মীর বায়ুসেনা ঘাঁটি। একটি বিল্ডিংকে সামান্য ক্ষতি করেছে। অন্যটি, ফাঁকা জায়গায় ফেটেছে। কোনও কোনও যন্ত্রের ক্ষতি হয়নি। তদন্ত চলছে।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে এনএইএ তদন্তের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এটি কী কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার পূর্ব পরিকল্পনা – তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এনএইএ তদন্তকারী দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সি, পুলিশ এবং বোম্ব ডিসপোশাল স্কোয়াড ঘটনাস্থলে যায়। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান দিলবাগ সিংহ স্থানীয় রিপোর্টারদের বলেছেন, ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।