নয়াদিল্লি: একদিকে ভারত-চিন সীমান্তে ঘাড়ের উপর উষ্ণ নিঃশ্বাস ফেলছে ড্রাগন৷ অন্যদিকে, ভারত-নেপাল সীমান্তে ক্রমাগত মাথাচাড়া দিচ্ছে জিহাদ৷ সম্প্রতি ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির একটি রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী বিহারের কয়েকটি জেলায় বিপুল সংখ্যক মসজিদ এবং অতিথিশালায় অর্থ বিনিয়োগ করছে দাওয়াত-ই-ইসলামিয়া নামে এক পাক সংগঠন৷ এই মসজিদ এবং অতিথিশালায় চলছে ভারত বিরোধী কাজ৷
আরও পড়ুন- আরও তীব্র হচ্ছে কৃষক আন্দোলন, দিল্লি গেটের সামনে জ্বলল আগুন
ভারত-নেপাল সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত এক অফিসার জানান, সম্প্রতি জানা গিয়েছে বিহারের সীমান্তবর্তী একটি জেলায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা দাওয়াত-ই-ইসলামিয়া অতিথিদের জন্য একটি দোতলা গেস্ট হাউজ তৈরি করা হয়েছে৷ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে আনুমানিক ১.২৫ কোটি টাকা৷ এই টাকা আসছে দাওয়াত-ই-ইসলামিয়ার পাকিস্তান, ভারত ও নেপাল শাখা থেকে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশি আর্থিক মদতপুষ্ট সীমান্ত লাগোয়া রৌতাহাট, পার্সা, কপিলাভাস্তু, সুনসারি এবং বরায় গড়ে ওঠা মাদ্রাসা এবং মসজিদগুলি ভারত বিরোধী কার্যকলাপের স্নায়ুতন্ত্র হয়ে উঠেছে৷’’
আরও পড়ুন- ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে দেশের কৃষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদী
অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশের গোরখপুর এবং ফৈজাবাদে ঘাঁটি গাড়ার ছক কষছে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা৷ তাঁদের নিশানায় রয়েছে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলি৷ ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই সকল সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে থাকা নেপালি মডিউলগুলিকে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান৷ জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে৷ যা ভারতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ ভারত-নেপাল সীমান্তে জঙ্গিদের এই বাড়বাড়ন্ত ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷’’ লস্কর-ই-তৈবার সদস্য মহম্মদ উমর মান্ডির উপর উপর এই এলাকায় জঙ্গি জাল বিছানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ এই অঞ্চলে জঙ্গি নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ করছে সে৷ এই কাজের জন্য এর আগে একাধিকবার কলকাতা এবং বিহারের দ্বারভাঙ্গাতেও পাঠানো হয়েছিল মান্ডিকে৷
সম্প্রতি নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরেছে৷ নেপালের নতুন মানচিত্রে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে কাঠমাণ্ডু৷ তার উপর ভারতের বিরুদ্ধে নেপালি জঙ্গি সংগঠনগুলিকে খেপিয়ে তুলতে টাকা ঢলতে শুরু করেছে পাকিস্তান৷