আরও ২৮ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন ভলিন্টিয়ররা, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মত সিরাম ইনস্টিটিউটের

পুনে: করোনা যুদ্ধে আরও একধাপ এগোল পুনের এসআইআই। সংস্থার প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারত শেষ পর্বে রয়েছে। ১ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর সবাইকেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সবাই আগামী ২৮ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

পুনে: করোনা যুদ্ধে আরও একধাপ এগোল পুনের এসআইআই। সংস্থার প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারত শেষ পর্বে রয়েছে। ১ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর সবাইকেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সবাই আগামী ২৮ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলিতভাবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদার করেছে। বৃহস্পতিবার এসআইআই এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (আইসিএমআর) ভারতে ‘কোভিশিল্ড’-এর জন্য ক্লিনিকাল পরীক্ষার তিনটি ধাপের কথা ঘোষণা করেছে। আইসিএমআর এবং এসআইআই ইউএস ফার্মা জায়েন্ট নোভাভ্যাক্স এবং এসআইআইয়ের ‘কোভোভাক্স’-এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য আরও সহযোগিতা শুরু হয়েছে। ভারতে আইসিএমআর ক্লিনিকাল ট্রায়াল সাইট এর জন্য অর্থ প্রদান করেছে এবং এসআইআই ‘কোভিশিল্ড’-এর জন্য অন্যান্য ব্যয়ের দিকটি দেখছে। 

বর্তমানে এসআইআই এবং আইসিএমআর দেশব্যাপী ১৫টি বিভিন্ন কেন্দ্রে ‘কোভিশিল্ড’-এর ২ থেকে ৩টি ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। এর জন্য ১ হাজার ৬০০ জন অংশগ্রহণকারীদের তালিকাভুক্তি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়েছিল। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভ্যাকসিন ব্রিটেন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় ট্রায়াল করা হচ্ছে। পুনের এসআইআই ইতিমধ্যে ডিসিজিআইয়ের ঝুঁকিপূর্ণ উৎপাদন ও স্টকপাইলিং লাইসেন্সের আওতায় ভ্যাকসিনের ৪০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করেছে।

এসআইআইয়ের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, “আইসিএমআর কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে এগিয়ে নিতে এবং শক্তিশালীকরণে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। এই সহযোগিতা ভারতকে ইমিউনোজেনিক এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখার ক্ষেত্রে আরও সহায়তা করবে। করোনা মহামারী শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো গঠনে কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি সুযোগ এনেছে। এটি বেসরকারি-পাবলিক ইনস্টিটিউটগুলির স্কেলিংয়ে এবং ভাইরাসের বিস্তারজনিত সংস্থাগুলির একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =