নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বকে সুখবর দিয়ে করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেল অক্সফোর্ড৷ পুজোর পর নভেম্বর মাসে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ফলাফল প্রকাশিত হতে৷ ৩ দফার ট্রায়ালের রিপোর্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেখিয়ে ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য এবার আবেদন করতে চলেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার৷ ভারতে অক্সফোর্ডের এই টিকা উৎপান, গবেষণার দায়িত্ব রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কাছে৷ দেশের বাজারেও যাতে এই টিকা ব্যবহার করা যায়, তার আবেদন ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছেও আর্জি জানাতে চলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷
তবে, বাজারে টিকা আনার আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত শর্ত পূরণ করতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার৷ টিকায় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রমাণিত না হলে মিলবে না অনুমোদন৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর অক্সফোর্ডের টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে৷ তার আগে নয়৷
নভেম্বরে মানবদেহে তিন দফার ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশ করতে চলেছে অক্সফোর্ড৷ ওই রিপোর্টে সমস্ত দিক বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হবে৷ ওই রিপোর্টের পর বাণিজ্যিকভাবে তা উৎপাদনে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে৷ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই টিকা বাজারে চলে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ অক্সফোর্ডের এই টিকা উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ অর্থ জুগিয়েছে বিল গেটস ফাউন্ডেশন৷ আশা করা হচ্ছে, ওই ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের বাণিজ্যিক মূল্য মাত্র ২২৫ টাকার মধ্যে থাকতে পারে৷
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যেই ভারতে এক বা একাধিক ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে৷ শুধু অক্সফোর্ড নয়, ভারত বায়োটেকের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলাফল আগামী মাসেই প্রকাশিত হবে৷ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারত বায়োটেক৷ নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রিপোর্ট চলে আসবে বলে খবর৷ সিরামের তিন পর্যায়ের ট্রায়ালের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পুজোর পর প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই রিপোর্ট দেখে ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে৷