সিকিম : একটা সময় ছিল, যখন তাঁর পায়ে বল মানেই বিপক্ষ রক্ষণে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠতো। চোখ ঝলসানো ড্রিবলে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে গোল করা ছিল তাঁর বাঁ পায়ের খেলা। তিনি ভারতীয় ফুটবলের বেতাজ বাদশা বাইচুং ভুটিয়া। রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। এবার নিজের দল গড়ে মাতৃভূমি সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেন। বাইচুংয়ের দল ‘হামরো সিকিম’ কিন্তু হালে পানি পেল না একেবারেই। ৩২ আসনের সিকিম বিধানসভায় বাইচুংয়ের হামরো সিকিম যেমন একটি আসনও পায়নি তেমনই লোকসভাতেও।
ফলে শূন্য ঝুলিতে ব্যর্থ বিধ্বস্ত বাইচুং। তবে ভোটে জেতার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি ভারতীয় ফুটবলের রাজপুত্র। সিকিমের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে গিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের দূর্নীতি নিয়ে। বুঝিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় এলে কী কী করবেন সিকিমবাসীদের জন্য। তবুও তাঁর দলকে একটি আসনেও জেতায়নি সিকিমবাসী। তবে পবন চামলিংয়ের সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে নতুন দল সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা। ৩২ আসনের সিকিম বিধানসভায় ১৭টি আসন পেয়েছে ক্রান্তিকারী মোর্চা।