নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করে চলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর বারবার হামলার ঘটনা রুখতে নয়া অর্ডিন্যান্স আনল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার থেকেই এই অর্ডিন্যান্স লাগু হল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জাভড়েকর বলেন, নয়া অর্ডিন্যান্স জারি করে ১২৩ বছরের পুরনো মহামারি আইনে (১৮৯৭) সংশোধনী আনা হল। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় এবার থেকে জামিন অযোগ্য ধারায় ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে মামলার নিষ্পত্তি হবে। এই ধরনের হামলার ঘটনায় ৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত জেল ও ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। হামলার ঘটনা গুরুতর হলে বা আঘাত গম্ভীর হলে, অভিযুক্ত ব্যক্তির ৬ মাস থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে৷ জরিমানা দিতে হবে ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত৷ কোনও ভাবেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না৷
In case of grievous injuries, the accused can be sentenced from 6 months to 7 years. They can be penalised from Rs 1 Lakhs to Rs 5 Lakhs: Union Minister Prakash Javadekar pic.twitter.com/VEXjQVz2x8
— ANI (@ANI) April 22, 2020
In case of grievous injuries, the accused can be sentenced from 6 months to 7 years. They can be penalised from Rs 1 Lakhs to Rs 5 Lakhs: Union Minister Prakash Javadekar pic.twitter.com/VEXjQVz2x8
— ANI (@ANI) April 22, 2020
অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর ক্লিনিক বা গাড়ির উপর হামলা হলে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত দ্রব্যের বাজার মূল্যের ২ গুণ বেশি টাকা হামলাকারীর থেকে আদায় করা হবে৷ জাভড়েকর বলেন, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে কাজ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই চিকিৎসক থেকে শুরু করে আশাকর্মী পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বিমার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সব দিক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর কেন্দ্র৷
তিনি বলেন, আয়ুষ্মান যোজনার উপভোক্তাদের জন্যও বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷ কোনও ব্যক্তি করোনার চিকিৎসার জন্য যে কোনও কোভিড হাসপাতালে যেতে পারে৷ ওই হাসপাতাল সরকারের নির্ধারিত তালিকায় না থাকলেও, চিকিৎসার পুরো টাকাই পাবেন রোগী৷ পাশাপাশি জাভড়েকর আরও জানান, দেশে তিন মাসের মধ্যে ৭২৩টি কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে৷ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার আইসোলেশন বেড এবং ২৪ হাজার আইসিইউ বেড তৈরি করা হয়েছে৷ ১২,১৯০ ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷