নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের মাথার জাতীয় প্রতীকটির উন্মোচন করেছেন সম্প্রতি। কিন্তু এই নতুন প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পুরনো এবং নতুন প্রতীকের মধ্যে ফারাক থাকায় তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, নতুন যে অশোক স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে তার সিংহ ‘হিংস্র’। আগে যে সিংহের মূর্তি ছিল তা অনেক নম্র এবং শান্ত ছিল। বিরোধীদের কটাক্ষ, নরেন্দ্র মোদী সরকার নিজেদের আসল রূপ দেখাতেই এই ‘হিংস্র’ মূর্তি বানিয়েছে যার দাঁতও বেরিয়ে আছে।
আরও পড়ুন-দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে চিন পেতেছে ঋণের ফাঁদ!
এতদিন ধরে যে অশোক স্তম্ভ ছিল তা সারনাথের মন্দিরের। কিন্তু এই নতুন সিংহের মূর্তি আলাদাভাবে তৈরি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আকারে এবং গঠনে এই মূর্তি আগের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, বর্তমান মোদী সরকার হিংসায় বিশ্বাস করে, অশান্তিতে প্রশ্রয় দেয়, তাই এই মূর্তি তাদের ধারণার আদলেই বানান। পরোক্ষে মোদী সরকারের চরিত্রই ফুটিয়ে তুলছে এটি। আইনজীবী তথা সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণের মত, নতুন সংসদ ভবনের সিংহ নাথুরাম গডসের মতো উগ্র, যেখানে আগেরটা ছিল গান্ধীর মতো শান্ত। আম আদমি পার্টি আবার এই প্রশ্নও তুলে দিয়েছে যে জাতীয় প্রতীক বদলে দেওয়ার এই চেষ্টা কি দেশদ্রোহ নয়?
এদিকে আবার বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সমালোচনার একটা বিষয় পেয়েছে বিরোধীরা, তাই সেটা করছে। যদিও নেতাদের একাংশ বলছে, ‘আসল’ অশোক স্তম্ভ ফিরিয়ে এনেছে বিজেপি যা কংগ্রেস করতে পারেনি। অন্যদিকে, নতুন জাতীয় প্রতীকের শিল্পী সুনীল দেওরেও বলেছেন, তিনি কোনও উগ্র মনোভাব থেকে ওই মূর্তি তৈরি করেননি।